উত্তর :
যেকোন পেশায় অসত্য তথ্য প্রদান করা নিষিদ্ধ। আল্লাহ বলেন, তোমরা সত্যকে
মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনেশুনে সত্যকে গোপন করো না (বাক্বারাহ ২/৪২)। তবে এজন্য আইনী পেশায় যুক্ত থাকা নিষিদ্ধ নয়; বরং কোনরূপ মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
অন্যদিকে অমুসলিম এলাকায় তাদের সাথে বসবাস করতে রাসূল (ছাঃ) নিরুৎসাহিত করেছেন। যেমন তিনি বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে যে সকল মুসলমান বসবাস করে আমি তাদের দায়িত্ব হ’তে মুক্ত...’(আবুদাউদ হা/২৬৪৫; মিশকাত হা/৩৫৪৭)। তিনি বলেন, ‘মুশরিকদের সাথে তোমরা একত্রে বসবাস করো না, তাদের সংসর্গেও যেয়ো না। যে মানুষ তাদের সাথে বসবাস করবে অথবা তাদের সংসর্গে থাকবে সে তাদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে’ (তিরমিযী হা/১৬০৫; ছহীহাহ হা/২৩৩০)। মূলতঃ তাদের ভ্রষ্ট আক্বীদা-বিশ্বাস ও সংস্কৃতি থেকে আত্মরক্ষার জন্যই রাসূল (ছাঃ) এরূপ নির্দেশনা দিয়েছেন। অতএব সাধারণভাবে অমুসলিম দেশে মুসলমানদের অভিবাসন সমীচীন নয়।
তবে দ্বীন পালনের নিশ্চয়তা থাকলে এবং ফিৎনা থেকে মুক্ত থেকে নিজের ঈমান-আক্বীদা রক্ষার ব্যাপারে দৃঢ় বিশ্বাসী হ’লে অমুসলিম দেশে গমন করা যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৩/২১৪)। সেক্ষেত্রে শর্ত হ’ল- (১) সে যথেষ্ট দ্বীনী জ্ঞানের অধিকারী হবে, যার মাধ্যমে সে হারাম থেকে বাঁচতে পারে (২) নিজে দ্বীন পালনে পূর্ণ সচেষ্ট থাকবে (৩) সেখানে বসবাসের বিশেষ প্রয়োজন থাকবে। উক্ত শর্তগুলি পূরণ না করতে পারলে অমুসলিম দেশে বা এলাকায় বসবাস না করাই কর্তব্য। কেননা তাতে নিজে কিংবা পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময় ফেৎনায় পতিত হওয়ার আশংকা থাকে (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/১৩১-৩২)। সুতরাং আইনী পেশায় থেকে অভিবাসনের কাজে সহযোগিতা করা যাবে, যদি প্রার্থী উক্ত শর্তগুলো মানার প্রতিশ্রুতি দেয়; নইলে নয়।
প্রশ্নকারী : জাহাঙ্গীর আলম, লন্ডন, ইংল্যান্ড।