
উত্তর : অভাবী আত্মীয়কে সহযোগিতা করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার আত্মীয়ের প্রয়োজনীয়তা মসজিদে দান করা অপেক্ষা গুরুত্ববহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে, কিভাবে খরচ করবে? বলে দাও যে, ধন-সম্পদ হ’তে তোমরা যা ব্যয় করবে, তা তোমাদের পিতা-মাতা, নিকটাত্মীয়, ইয়াতীম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য ব্যয় করবে’ (বাক্বারাহ ২/২১৫)। আবু তালহা আনছারী তার মসজিদে নববীর পাশের মূল্যবান সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতে চাইলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা আত্মীয়-স্বজনের মাঝে দান করার জন্য নছীহত করেন (বুখারী হা/১৪৬১; মুসলিম হা/৯৯৮)। আত্মীয়কে দান করলে দ্বিগুণ ছওয়াব প্রাপ্তির বিষয় বর্ণনা করে নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘মিসকীনদেরকে দান খয়রাত করা শুধুমাত্র একটি (সাধারণ) দান বলেই গণ্য হয়। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে তাতে দু’টি (ছওয়াব) হয়, (সাধারণ) দান এবং আত্মীয়তা রক্ষা। (এর ছওয়াব) হয় (নাসাঈ হা/২৫৮২; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৫৮)।
প্রশ্নকারী : উআরাফাত, মুন্সিগঞ্জ।