উত্তর :
এ ব্যাপারে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। যেমন, রাসূল (ছাঃ) বলেন, সূরা কাহফের
প্রথম ১০ আয়াত পাঠ করলে বা মুখস্থ করলে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকা
যায় (মুসলিম, ইবনু হিববান হা/৭৮৬; মিশকাত হা/২১২৬)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য কিয়ামতের দিন একটি বিশেষ নূর বা আলো থাকবে (ত্বাবারাণী, ছহীহাহ হা/২৬৫১)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি জুম‘আর দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে, পরবর্তী জুম‘আর দিন পর্যন্ত তার জন্য একটি নূর বা আলো জ্বালানো হবে (দারেমী হা/৩৪০৭, ছহীহ তারগীব হা/৭৩৬)।
বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, ‘এক ব্যক্তি সূরা কাহ্ফ পাঠ করছিল। পাশেই তার
দু’টি ঘোড়া বাঁধা ছিল। তৎক্ষণাৎ এক খন্ড মেঘের আকৃতিতে ফেরেশতাগণ তাকে
আচ্ছাদিত করে নিল। এমনকি তারা আরো নিকটবর্তী হ’তে লাগল। তখন তার ঘোড়া দু’টি
লাফাতে থাকে। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর নিকটে উক্ত ঘটনা
বর্ণনা করলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এটা রহমত, যা কুরআনের কারণে নেমে
এসেছিল (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২১১৭)।