উত্তর : নাজাতপ্রাপ্ত দলটি কেবল শামের অধিবাসী বা বায়তুল মুক্বাদ্দাসের অধিবাসী হবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৬৩৯০)।
উক্ত বর্ণনাগুলোকে ছহীহ ধরা হ’লেও নাজাতপ্রাপ্ত দলের শামে অবস্থান করাকে
আবশ্যক করে না। বরং এই দলটি একেক সময় একেক স্থানে অবস্থান করবে। যেমন ইবনু
তায়মিয়াহ (রহঃ)-এর আমলে হকপন্থী দলটি শামে অবস্থান করছিল। আবার আব্দুল
ওয়াহহাব নাজদীর আমলে তারা সঊদী আরবে অবস্থান করছিল। আবার তারা একই সাথে
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবস্থান করতে পারে। যেমন বিভিন্ন দেশের সালাফী
মানহাজের লোকেরা (হামূদ তুয়াইজেরী, ইত্তিহাফুল জামা‘আত ১/৩৩২)।
কারণ বিভিন্ন হাদীছে হকপন্থী দলের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানের কথা বলা
হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, পশ্চিম দেশীয়রা (আরববাসীরা/শামবাসীরা) বরাবর হকের
উপর বিজয়ী থাকবে ক্বিয়ামত পর্যন্ত (মুসলিম হা/১৯২৫)।
উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, বায়তুল
মুক্বাদ্দাস বা শামে অবস্থান দ্বারা উদ্দেশ্য সে সকল লোক যারা দাজ্জাল
দ্বারা অবরুদ্ধ হবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) অবতরণ করে দাজ্জালকে হত্যা করবেন (ফাৎহুল বারী ১৩/২৯৪-৯৫)। অতএব নাজাতপ্রাপ্ত দলের সীমানা শাম বা সিরিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রাক্বীব, সখের বাজার, নিলফামারী।