উত্তর :
এ বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মারা গেল
এমতাবস্থায় যে, তার উপর রামাযান মাসের ছিয়ামের ক্বাযা রয়েছে, তার পক্ষ থেকে
প্রতি ছিয়ামের বদলে প্রতিদিন একজন করে মিসকীন খাওয়াবে’ (তিরমিযী হা/৭১৮; মিশকাত হা/২০৩৪; মারফূ হিসাবে সনদ যঈফ। তবে মওকূফ হিসাবে ছহীহ)।
জনৈক ব্যক্তি মারা গেল। যার উপরে রামাযানের অথবা মানতের ছিয়ামের ক্বাযা ছিল। এক্ষণে তার পক্ষে উক্ত ছিয়াম আদায় করতে হবে কি-না এরূপ এক প্রশ্নের উত্তরে ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, কেউ কারু পক্ষে ছিয়াম পালন করবে না এবং কেউ কারু পক্ষে ছালাত আদায় করবে না। বরং তোমরা তার পরিত্যক্ত মাল থেকে তার পক্ষে ছিয়ামের বদলে ছাদাক্বা দাও প্রতিদিনের জন্য একজন করে মিসকীন। যার পরিমাণ হ’ল এক মুদ করে গম (বায়হাক্বী ৪/২৫৪, সনদ ছহীহ)। এক মুদ হ’ল সিকি ছা‘ (ইরওয়া হা/১৩৯, ১/১৭০২)। ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত অপর বর্ণনায় এসেছে, উত্তরাধিকারীরা ছাদাক্বা দিতে পারেন কিংবা ছিয়ামও আদায় করতে পারেন (বায়হাক্বী ৪/২৫৪)।
-নাসরীন সুলতানা
কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।