
উত্তর: সর্বাবস্থায় ভাষা শালীন হওয়া আবশ্যক। ভাষা সুন্দর করেও কাজ করিয়ে নেওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ কদর্য ও অশ্লীলতা পসন্দ করেন না (আহমাদ হা/৫১৭৬; ছহীহাহ হা/২৭২১)। তিনি আরো বলেন, ‘মুমিন খোঁটাদানকারী, অভিশাপকারী, অশালীন এবং অসভ্য হয় না’ (তিরমিযী হা/১৯৭৭; ছহীহাহ হা/৩২০)। তিনি আরো বলেন, ‘পাঁচ প্রকার লোক জাহান্নামী। যার মধ্যে রয়েছে, দুশ্চরিত্র ও অশ্লীল বাক্যালাপকারীর কথা (মুসলিম হা/২৮৬৫; মিশকাত হা/৪৯৬০)। অতএব গালিগালাজ নয়, বরং সাধ্যমত সুন্দর আচরণ ও মার্জিত কথা বা নছীহতের দ্বারা অধীনস্থদের কাজ করিয়ে নিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুসলিমদের গালি-গালাজ করা গুনাহের কাজ এবং তাদের সাথে মারামারি করা কুফরী’ (বুখারী হা/৪৮)। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি দশ বছর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খেদমত করেছি। তিনি কখনোও আমাকে ‘উহ’ শব্দ বলেননি। কোন কাজ করে বসলে তিনি এ কথা জিজ্ঞেস করেননি যে, তুমি এ কাজ কেন করলে? আর কোন কাজ না করলে তিনি বলেননি যে, তা কেন করলে না? (বুখারী হা/৬০৩৮)।
প্রশ্নকারী : আতীকুল ইসলাম, পাথরঘাঁটা, বরগুনা।