ভূমিকা :জান্নাত লাভ করা প্রত্যেক বান্দার আরাধ্য বিষয়। মুমিন বান্দা হৃদয়ে সর্বদা জান্নাত লাভের স্বপ্ন লালন করেন। তবে শুধু কামনা করলেই জান্নাত পাওয়া যায় না; বরং এর জন্য কিছু করণীয় ও বর্জনীয় রয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী শরী‘আতে এমন কতিপয় নেক আমল আছে, যা সম্পা
৫ই আগস্ট ২০২৪। বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি দিন। ছাত্রসমাজের দুঃসাহসী সংগ্রামী চরিত্রকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার দিন। ঘাতকের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে, শহীদী রক্তে রঞ্জিত হয়ে বিজয় আনার দিন। জুলাই-আগস্ট’২৪ দুঃশাসনের এক কালো অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪পর্ব ৫পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
পৃথিবীতে এযাবত মৌলিকভাবে দু’টি শাসনব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। রাজতন্ত্র ও খেলাফত। দু’টির মধ্যে দু’টি আদর্শের প্রতিফলন রয়েছে। রাজতন্ত্রে রাজার ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাঁর হাতেই থাকে সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি। যেমন বিগত যুগে নমরূদ, ফেরাঊন ও সর্বযুগে তাদের অনুসারী শাস
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব দুনিয়া সম্পর্কে রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী :আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ওহীর বার্তাসহ প্রেরণ করেছেন। তিনি আসমানী জ্ঞানের বাইরে কোনকিছুই ব
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
১. মালেক বিন দীনার (রহঃ) বলেন,كفى بالمرء خيانة أن يكون أميناً للخونة، وكفى بالمرء شراً أن لا يكون صالحاً ويقع بالصالحين، ‘কোন ব্যক্তির খেয়ানতকারী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে খেয়ানতকারীর রক্ষক হবে। আর কোন মানুষের নিকৃষ্ট হওয়ার জন্য এতটুকুই
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
পর্ব ১ । পর্ব ৩পর্ব ৪ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব
উত্তর : মালাকুল মাউত বা আযরাঈল কারো জান কবয করতে গিয়ে কেঁদেছেন মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং মালাকুল মাউতের কান্না সম্পর্কে যে বর্ণনাগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হয় কিচ্ছা-কাহিনী, না হয় ইস্রাঈলী বর্ণনা (আবুশ শায়েখ আছবাহানী, আল-‘আযমাহ হা/৪৪
উত্তর : এটা ঠিক হবে না। কারণ মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। এই মানত ভঙ্গের জন্য আল্লাহ তার অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে দিবেন এবং পরকালে তাকে কঠিন শাস্তি দিবেন (তওবাহ ৯/৭৫-৭৮)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য নযর মানে, সে যেন (তা
উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে, লোকেরা মসজিদের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করে চলে যাবে। অথচ তাতে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে না এবং পরিচিত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাউকে সালাম প্রদান করা হবে না (ছহী
সম্প্রতি হঠাৎ কিছু বক্তাদের মাধ্যমে গুজব রটল এ বছরের ১৫ই রামাযান শুক্রবার ক্বিয়ামত হবে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়ায হবে। তাতে বহু লোক মারা যাবে, অন্ধ হবে, বধির হবে’ ইত্যাদি। তারা প্রমাণ উপস্থাপনের সময় বললেন, ‘হয়তো হাদীছ হিসাবে সনদটি ছহীহ নাও হ’তে পারে, কি
উত্তর : উক্ত বক্তব্য ভিত্তিহীন। কারণ শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) সর্বপ্রথমে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার অনুসারীদের সংখ্যা হবে সর্বাপেক্ষা বেশী এবং আমিই প্রথম জান্নাতের দরজা
উত্তর : মসজিদের ইমাম ছাহেব নয় বরং প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ নবী-রাসূলগণের সাথে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে। আল্লাহ বলেন, (স্মরণ কর) যেদিন আমরা প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের ইমামসহ আহবান করব। অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে, তারা তাদের আ
পুলছিরাতে কাফের-মুশরিকদের অবস্থা :ক্বিয়ামতের দিন কাফের ও মুশরিকরা পুলছিরাতে ওঠার আগেই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। কারণ পুলছিরাত অতিক্রমের বিষয়টি কেবল তাদের জন্যই প্রযোজ্য হবে যারা মুসলিম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। যেমন আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল
ভূমিকা :পুলছিরাত হ’ল জাহান্নামের উপরে নির্মিত সেতু। পরকালের অন্যতম একটি ভয়ঙ্কর জায়গা এই পুলছিরাত। এটা অতিক্রম না করে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। মুমিনগণ তাদের আমল ও ঈমানের নূর অনুযায়ী পুলছিরাত পার হয়ে জান্নাতে চলে যাবেন। কিন্তু পাপী ও মুনাফিকর
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদের ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন, যেমন তিনি দান করেছিলেন পূর্ববর্তীদেরকে’ (নূর ২৪/৫৫)। তিনি স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘তুমি বল, হে
উত্তর : কোন জান্নাতী ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী জান্নাতী হ’লে সবাই উক্ত স্বামীর সাথে জান্নাতে থাকবে। পক্ষান্তরে একাধিক জান্নাতী স্বামীর অধিকারী জান্নাতী মহিলা তার সর্বশেষ স্বামীর সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে। আবুদ্দারদা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর তাঁর বিধ
আল্লাহ বলেন,إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ إِنَّا لاَ نُضِيعُ أَجْرَ مَنْ أَحْسَنَ عَمَلاً- ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম সমূহ সম্পাদন করে (আমরা তাদের পুরস্কৃত করি)। নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি সৎকর্ম করে, আমরা তার পুরস্কার বিনষ্ট করি না’ (কাহ্ফ-ম
উত্তর : কারো জন্য মৃত্যু কামনা করে দো‘আ করা যাবে না। তবে তার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর মনে হ’লে তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়
উত্তর : পৃথিবীতে যাদের ভাই বা বোন নেই তাদের পরকালে আপন ভাই বা বোন পাওয়ার ব্যাপারে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে জান্নাতবাসীগণ সেখানে যা চাইবে তাই পাবে। আল্লাহ বলেন, ‘...সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে যা তোমাদের মন চাইবে এবং সেখানে রয়েছে যা তোমরা দাবী
উত্তর : ক্বিয়ামতের দিন চন্দ্র ও সূর্যকে ভাঁজ করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে মর্মে বিশুদ্ধ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহাহ হা/১২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৬৪৩)। তবে এটি শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। কারণ এই দু’টো আল্লাহর অনুগত সৃষ্টি। আল্লাহ বলেন, তুমি কি দেখ না যে,
উত্তর : এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়নি। তবে যঈফ সনদে কিছু কিছু বর্ণনা এসেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতবাসীকে কুরআন শুনাবেন যাতে লোকেরা মনে করবে তারা কখনো এরূপ শুনেনি (আবুল ফযল রাযী, ফাযায়েলুল কুরআন হা/১৩৩; আলবানী, যঈফাহ হা/১২৪৮)। যেহেতু এটি
(অক্টোবর’২১ সংখ্যার পর)৭. কুধারণা করা :কোন মানুষের প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা সমীচীন নয়। কেননা এতে মানুষ কষ্ট পায়। বরং মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা কর্তব্য। আল্লাহ বলেন,يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْض
দুনিয়াতে মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম ও হাওয়া (আঃ)। তাঁদের থেকেই দুনিয়াতে মানুষ বিস্তার লাভ করেছে (নিসা ৪/১)। সে হিসাবে পৃথিবীর সকল মানুষ ভাই ভাই। আদর্শিক দিক দিয়ে বিবেচনা করলে মুসলমানরা ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর (হজ্জ ২২/৭৮)। স
উত্তরঃ এটি কোন হাদীছ নয়।
তওবার পদ্ধতি :কোন গুনাহগার ব্যক্তি তওবা করতে চাইলে, প্রথমে যে পাপে লিপ্ত ছিল সেটা ছাড়তে হবে এবং আল্লাহর আযাবের ভয়ে ও পরকালে জান্নাত পাওয়ার আশায় তওবার নিয়ত করতে হবে। আর মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে তাতে আর ফিরে না আসার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সেই সাথে
ইখলাছের ফলাফল :ইখলাছের অনেক ফলাফল রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কতিপয় হ’ল-১. জান্নাত লাভ :আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন,إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِيْنَ، أُوْلَئِكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُوْمٌ، فَوَاكِهُ وَهُم مُّكْرَمُوْنَ، فِيْ جَنَّاتِ النَّعِيْمِ-‘
উত্তরঃ ক্ষমা চাওয়ার সময় ভিক্ষা শব্দ ব্যবহার করা যায় (বাক্বারাহ ১৮৬)। কারণ আল্লাহর নিকট সবাই ভিক্ষুক। আর হাদীছে চাওয়ার শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার কাছে চায় আমি তাকে দিব’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১২২৩)। কাজেই সব মানুষই
মানবতার হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে কালক্রমে ১ লক্ষ ২৪ হাযার নবী-রাসূল আগমন করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ছিলেন মুহাম্মাদ (ছাঃ)। তাঁর পরে আর কোন নবী আসবেন না। তিনি মানুষকে সত্য-সুন্দরের পথ, কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন। মুসলিমের সতত সাধনা সেই হেদায়াত লাভ করা,
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে মুসলমান আল্লাহর কালেমাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে লড়াই করবে, কেবলমাত্র সেই-ই আল্লাহর পথে লড়াই করল’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৮১৪)। অতএব যারা তাওহীদের কালেমাকে সমুন্নত করার খালেছ নিয়তে আল্লাহর পথে লড়াই করে মারা
উত্তরঃ হাদীছটি ছহীহ (মুসলিম হা/২৮৬৪; মিশকাত হা/৫৫৪০ ‘কিয়ামতের অবস্থা’ অধ্যায় ‘হাশর’ অনুচ্ছেদ)।
উত্তরঃ শিশু অবস্থায় কোন ছেলে-মেয়ে মারা গেলে তারা ক্বিয়ামতের দিন তাদের মুসলিম পিতা-মাতাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, মুসলিম শিশু সন্তানেরা জান্নাতের ‘শিশু খাদেম’ হবে। তাদের কেউ পিতা-মাত
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির নামে জুম‘আর দিন জিলাপি বিতরণ করা এবং সবাই মিলে তার জন্য উক্ত পদ্ধতিতে মুনাজাত করা যাবে না। কবরের পাশে গিয়ে অথবা যেকোন স্থান হ’তে মৃত ব্যক্তির জন্য একাকী হাত তুলে বা না তুলে দো‘আ করা যায় (মুসলিম হা/২২৫৫, ১/৩১৩ পৃঃ; আবুদাঊদ,
উত্তরঃ ঈমানদারের জন্য যরূরী হ’ল, আল্লাহ অবতরণ করেন একথা বিশ্বাস করা এবং কিভাবে করেন সেকথা বলা থেকে বিরত থাকা। কারণ আল্লাহর কাজ তাঁর মতই হয় মানুষের মত নয়। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে রাত হয় এটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয় এবং তাঁর অবতরণ তাঁর ইচ্ছাতেই হ
উত্তরঃ মনগড়াভাবে কুরআনের কোন শব্দ বা আয়াতের অর্থ করা যাবে না। ইমাম রাযীন বলেছেন, যে ব্যক্তি তার নিজ মতামত দ্বারা কুরআনের ব্যাপারে কিছু বলে ভুল করল সে কুফরী করল। একদা আবুবকর (রাঃ)-কে একটি অক্ষরের ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, যদি কিতাবু
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা অমুসলিম অবস্থায় মারা গেছেন। তাই তিনি তাদের ব্যপারে কোন সুফারিশ করতে পারবেন না’ (মুসলিম হা/২৩০৪ ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ৩৬)। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে তার মায়ের কবর যেয়ারতের অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার জন্য ক্ষমা প
উত্তরঃ কুরআন ও হাদীছে নির্ধারিত হিসাব অনুযায়ী ওয়ারিছগণ সম্পত্তি বণ্টন করে নিবেন (নিসা ১১-১২)। ওয়ারিছগণ মৃতব্যক্তির শরী‘আত সম্মত অছিয়ত বাস্তবায়ন না করলে তারাই এর জন্য গুনাহ্গার হবে। এর জন্য মৃতব্যক্তি দায়ী হবে না এবং এজন্য তার কবরে আযাবও হবে না।
উত্তর : শিশু অবস্থায় যারা মারা যায় তারা জান্নাতে যাবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জান্নাত দেখার সময় অনেক ছেলেমেয়েকে ইবরাহীম (আঃ)-এর সামনে দেখলেন, যারা জনগণের সন্তান (বুখারী, মিশকাত হা/৪৬২১)। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, জিবরীল (আঃ) বলল
উত্তর : জান্নাত একটি। এর দরজা ৮টি (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৭)। যেমন রাইয়ান, আদন, জান্নাতুল ফেরদাউস ইত্যাদি। জাহান্নাম একটি। যার দরজা ৭টি (হিজর ১৫/৪৩)। যেমন হুত্বামাহ, সাঈর, সাক্বার ইত্যাদি।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমার উম্মতের সত্তুর হাযার লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের কোন শাস্তি হবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, তারা কারা? তিনি বললেন, যারা শরীরের ক্ষতস্থানে লোহা পুড়িয়ে দাগা দেয় না এবং (জাহেলী যুগের ন্যায়) ঝাড়-ফুঁক বা মন্ত্
উত্তর : আসমাউল হুসনা মুখস্থ করা আবশ্যিক নয়, বরং এগুলির মর্ম অনুধাবন করা আবশ্যিক। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার নিরানববইটি অর্থাৎ এক কম একশ’টি নাম আছে। যে ব্যক্তি এগুলি মুখস্থ করে রাখবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (বুখারী হা/৬৪১০; মুসলিম হা/২৬৭৭)। এর
উত্তর : এই ধরনের অছিয়ত পালনযোগ্য নয়। কারণ প্রয়োজন ছাড়া একটি কবরে একাধিক ব্যক্তিকে দাফন জায়েয নয়। তাছাড়া এতে প্রথম লাশের সম্মানহানী হয় (নববী, আল-মাজমূ‘ ৫/২৮৪; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৩/৪২০-২১)। কেবল বাধ্যগত কারণে যেমন স্থান সংকুলান না হ’লে
উত্তর : জান্নাতে কেবল একশটি নয় বরং অসংখ্য স্তর আছে (নিসা ৪/৯৫-৯৬; আনআম ৬/১৩২; আনফাল ৮/৪; বনী ইসরাঈল ১৭/২১; ত্ব-হা ২০/৭৫)। যার মধ্যে শুধু একশটি স্তর এমন রয়েছে, যা আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পথে জিহাদকারীদের জন্য প্রস্ত্তত করে রেখেছেন (বুখারী হা/২৭৯০; মিশকাত হ
উত্তর : শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)- কে সর্বপ্রথম কবর থেকে উঠানো হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৭৪১ ‘ফাযায়েল ও শামায়েল’ অধ্যায়)।
উত্তর : ইমাম গাযালীর এহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থে উক্ত বর্ণনা রয়েছে। কিন্তু বর্ণনাটি যঈফ এবং রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত নয়’ (তাফসীর রাযী, তাফসীর নিযামুদ্দীন নাইসাপুরী, বাক্বারাহ ১০৯)। উক্ত ছয় প্রকার লোক হ’ল, অত্যাচারী শাসক, জাত্যাভিমানী আরব, অহংকারী নেতা
উত্তর : তারা জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝখানে একটি উঁচু জায়গায় অবস্থান করবে। তারাই হবে আ‘রাফবাসী (তাফসীরে ইবনে কাছীর ১/২২৫ পৃঃ, সূরা আ‘রাফ ৪৬ ও ৪৭ নং আয়াতের আলোচনা দ্রঃ)।
উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্
উত্তর : জান্নাতের নে‘মতসমূহের মধ্যে নহর অন্যতম। এ নদীগুলো কিসের হবে তা পবিত্র কুরআনে এভাবে এসেছে, ‘মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের অঙ্গীকার দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হ’ল, সেখানে থাকবে নির্মল পানির নহরসমূহ, থাকবে দুধের নহরসমূহ যার স্বাদ হবে অপরিবর্ত
উত্তর : সূর্য ও চন্দ্র উভয়কে ক্বিয়ামতের দিন আলোহীন করা হবে (বুখারী, মিশকাত হা/৫৫২৬)। সূর্য মাত্র এক মাইল দূরে থাকবে (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫৪০)। তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে (সিলসিলা ছাহীহাহ হা/১২৪, ১/১২৩ পৃঃ)।উল্লেখ্য, সূর্য ও চন্দ্রকে শাস্তি দেও
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا لِي وَلِلدُّنْيَا؟ وَمَا أَنَا وَالدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ اسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا-হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) হ
উত্তর : উক্ত মর্মে কোন ছহীহ দলীল পাওয়া যায় না। তবে কোন মুসলিম ব্যক্তি শুক্রবারে মারা গেলে সে কবরের ফিৎনা হ’তে বেঁচে যাবে মর্মে ছহীহ দলীল রয়েছে (আহমাদ, তিরমিযী হা/১০৯৫, সনদ হাসান; মিশকাত হা/১৩৬৭, ‘জুম‘আ’ অনুচ্ছেদ)। এখানে ‘ফিৎনা’ বলতে সওয়াল-জওয়াব
জন্মের মাধ্যমে জীবনের শুরু আর মৃত্যুর মাধ্যমে ইহজীবনের পরিসমাপ্তি এবং পরকালীন জীবনের যাত্রা আরম্ভ হয়। কবর বা বারযাখী জীবনের পরে মানুষ ক্বিয়ামতে পার্থিব জীবনের কর্মের হিসাব দিয়ে অনন্ত জীবনে সুখ-শান্তি কিংবা আযাব-শাস্তি লাভ করবে। আর সেই অনন্ত জীবনের প্
উত্তর : জান্নাত একটি আর জাহান্নামও একটি। তবে জান্নাত এবং জাহান্নামের অনেকগুলি স্তর রয়েছে। জান্নাত শব্দটি কুরআনে এবং হাদীছে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে ঐসব স্তরগুলির দৃষ্টিকোণ থেকে। যেমন বলা হয়েছে, জান্নাতের ১০০টি স্তর রয়েছে। প্
উত্তর : উক্ত সংখ্যাটি বলা হয়েছে শহীদদের মর্যাদায়। যেমন রাসূল (ছাঃ) শহীদদের ৬টি মর্যাদার অন্যতম হিসাবে বলেন, ... তাদের প্রত্যেকের পক্ষ থেকে ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুফারিশ কবুল করা হবে (তিরমিযী হা/১৬৬৩; ইবনু মাজাহ হা/২৭৯৯; মিশকাত হা/৩৮৩৪)।
আল্লাহ এক, অদ্বিতীয় ও অসীম সত্তার অধিকারী। আর মানুষ হ’ল তাঁর সর্বাধিক প্রিয় সৃষ্টি। তিনি মানুষকে শয়তান হ’তে সাবধান থাকার পুনঃ পুনঃ নির্দেশ প্রদান করেছেন। কুরআন এলাহী গ্রন্থ। এ গ্রন্থে আল্লাহ ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক-সাবধান করেছেন।পবিত্র ক
উত্তর : ইসলামী আদালত কর্তৃক উক্ত দন্ড কার্যকর হ’লে পরকালীন শাস্তির জন্য তা কাফফারা হয়ে যাবে (বুখারী হা/১৮; মুসলিম হা/১৭০৯; মিশকাত হা/১৮)।
মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূ
উত্তর : বক্তব্যটি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত হ’ল, লোকেরা মসজিদ অতিক্রম করে চলে যাবে অথচ সেখানে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করবে না’ (মু‘জামুল কাবীর হা/৯৪৮৮; শু‘আবুল
১. মুরারা বিন রাবী‘আ, কা‘ব বিন মালেক, হিলাল বিন উমাইয়্যা (রাঃ)।২. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৩. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৪. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।৫. হাসসান বিন ছাবেত (রাঃ) ।৬. মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)।৭. উক্কাশা বিন মি
উত্তর : মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত করা জায়েয। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান বিন আবুবকর (রাঃ)-এর কবর যিয়ারত করার সময় তাকে বলা হ’ল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ নিষেধ করেছিলেন। তবে পরে তিনি কবর যিয়ারত করার অনুমতি
গত ৮ই মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এর পূর্বনাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। ১৮৫৭ সালে মজুরী বৈষম্য, অনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, কাজের অমানবিক পরিবেশ ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমেরিকার রাস্তায় নেমে এসেছিল সেদেশের সূতা কারখানার নারী শ্রমিক