উত্তর : অত্র আয়াতে আল্লাহ বলেন, আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব যেদিকেই তোমরা মুখ ফিরাও না কেন সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ।

কোন কোন বিদ্বান বলেছেন যে, ১৬/১৭ মাস বায়তুল মুক্বাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায়ের পর বাক্বারাহ ১৪৪ ও ১৫০ আয়াতের মাধ্যমে রাসূলকে পুনরায় কা‘বা গৃহের দিকে কিবলা করে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে ইহুদীরা বাহানা খুঁজে পায় এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তারা নানাবিধ উপহাসমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে। এর প্রতিবাদে অত্র আয়াত নাযিল হয়। যাতে বলা হয় যে, সকল দিকই আল্লাহর। তিনি স্বীয় বান্দাদের যেদিকে খুশী সেদিকে  ফিরে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিতে পারেন। এতে ইহুদী বা অন্য কারু খুশী বা নাখোশ হওয়ার কিছু নেই।

অন্যান্য বিদ্বানগণ বলেন, ঘনঘটাময় অন্ধকার রাত্রিতে দিকহারা মুছল্লী কিবলায় ভুল করলেও তার ছালাত জায়েয হবে মর্মে অত্র আয়াতটি নাযিল হয়েছে। যেমন আব্দুল্লাহ বিন আমের (রাঃ) স্বীয় পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, একদা আমরা এক অন্ধকার রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম। তখন আমরা কেউ কিবলা চিনতে পারলাম না। ফলে আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধারণা মতে কিবলা নির্ধারণ করে ছালাত আদায় করি। সকালে আমরা বিষয়টি আল্লাহর রাসূলের কাছে পেশ করি। তখন অত্র আয়াতটি নাযিল হয়’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, বায়হাক্বী, দারাকুৎনী সনদ হাসান; আলবানী, ইরওয়া হা/২৯১)। ইবনু ওমর (রাঃ) বর্ণিত অন্য একটি হাদীছে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কা থেকে মদীনায় যাওয়ার পথে নিজ সওয়ারীতে ছালাত আদায় করেছিলেন কিবলা নির্ধারণ ছাড়াই। তখন অত্র আয়াতটি নাযিল হয়’ (বুখারী হা/১০৯৬; মুসলিম হা/৭০০; নাসাঈ, আবুদাঊদ হা/১২২৪ ইত্যাদি)

এর দ্বারা ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, মুসাফিরের জন্য সফর অবস্থায় পরিবহনের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোন দিকে ফিরে নফল ছালাত আদায় করা জায়েয। এ ব্যাপারে বিদ্বানগণের মধ্যে কোন মতভেদ নেই (কুরতুবী)

অত্র আয়াতে وَجْهُ اللهِ অর্থ ‘আল্লাহর চেহারা’-এর অর্থ তাঁর কুদরত বা অন্য কিছু বলা যাবে না। তাতে প্রকাশ্য অর্থের বিরোধিতা হবে এবং ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে ছালেহীনের বুঝের বিপরীত হবে। যারা আল্লাহকে ‘নিরাকার’ বলেন এবং কোন শূন্য সত্তার উপাসনা করেন, তারা আল্লাহর এই সকল ছিফাতের এবং অপব্যাখ্যা করেন এবং আল্লাহর হাত, চোখ, চেহারা, পায়ের নলা ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণিত আয়াত সমূহের নানাবিধ রূপক অর্থ করেন, যার কোনটাতেই  তারা একমত হতে পারেননি।

অত্র আয়াতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কেবল পূর্ব ও পশ্চিমে আল্লাহর ইলম সীমিত নয় কিংবা কিবলামুখী হওয়ার উদ্দেশ্য কা‘বা গৃহ বা বায়তুল মুক্বাদ্দাস পূজা করা নয়। বরং ইবাদতে শৃংখলা স্থাপন ও আল্লাহর প্রতি মনোযোগ একনিষ্ঠ করার উদ্দেশ্যে ছালাতে কিবলা নির্ধারণ করা হয়েছে। আয়াতের শেষে একথা বলে দেওয়া হয়েছে যে, আল্লাহর জ্ঞান সর্বব্যাপী। ‘তাঁর কুরসী আসমান ও যমীন সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে। আর সেগুলিকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে মোটেই কঠিন নয়। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’ (বাক্বারাহ ২/২৫৫)






প্রশ্ন (১৮/১৮) : ‘আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত পূর্ণ হবে না’ মর্মে হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন (১৮/৪১৮) : কোন মুশরিক ব্যক্তিকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য মসজিদের কোন দায়িত্ব দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : মহিলাদের উপর কখন হজ্জ ফরয হবে? স্বামীর নিকট দু’জনের খরচের সমপরিমাণ অর্থ থাকলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর হজ্জ ফরয হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : মসজিদে গিয়ে ২ রাক‘আত ছালাত আদায় করে চুপচাপ বসে থাকলে ফেরেশতারা তার জন্য দো‘আ করবে মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - -মেহেদী হাসান, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : এ্যালকোহলযুক্ত সেন্ট মেখে ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২/২৪২) : দুই তলাবিশিষ্ট মসজিদের ২য় তলায় ছালাতের স্থান এবং নীচতলা ছাত্রাবাসে পরিণত করা জায়েয হবে কি? - -মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দরাজারবাগান, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১২/১২) : বড় বড় অনেক ইমাম আছেন, যাদের ইলমী খেদমত ব্যাপক। কিন্তু কিছু আক্বীদার ক্ষেত্রে তাদের চরম বিভ্রান্তি আছে। তাদের বই পাঠ করা বা ফৎওয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কি হবে?
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : কুরআনের আয়াতকে আমরা বাক্য না বলে আয়াত বলি কেন? কুরআনের আয়াত বাংলায় উচ্চারণ করে পড়লে কি প্রতি অক্ষরে ১০টি ছওয়াব পাওয়া যাবে? আত-তাহরীক ও অন্য কোন হাদীছগ্রন্থ পাঠ করলে কেমন ছওয়াব পাওয়া যাবে? কোন অমুসলিম আরবী শিখে কুরআন তেলাওয়াত করলে সে কি প্রতি অক্ষরে ১০টি করে নেকী পাবে?
প্রশ্ন (৭/১২৭) : চার হাতে মুছাফাহা করার বিষয়টি কি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন। - -শাহাদত বিন আব্দুর রহমান, ইশ্বরদী।
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : অনেকে বলেন, পুরাতন কবরে লাশ দাফন করলে কবরের আযাব হবে না এবং তার কোন হিসাব-নিকাশও হবে না। কারণ পূর্বে যে ঐ কবরে ছিল সে তো হিসাব দিয়েই দিয়েছে। উক্ত কথাটি কি ঠিক?
প্রশ্ন (১৪/৯৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, এই দুনিয়ায় ওলীগণ আমাদের সাহায্যকারী। তারা আমাদের বিপদে সাহায্য করে থাকেন যেমন আব্দুল ক্বাদের জীলানী (রহঃ)। তারা দলীল হিসাবে সূরা মায়েদাহ ৫৫ আয়াতটি পেশ করে থাকে। এই বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি? - -নূর জাহান বেগম, কালিয়াকৈর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : আমার স্বামীর কিছু অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য মাঝে মাঝে তার সাথে ঝগড়া হয়। একসময় আমি তার উপর অভিশাপ দেই যেন ঈমানহারা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরূপ অভিশাপ দেওয়া জায়েয কি? এর কোন কার্যকারিতা আছে কি? - -বিউটি বেগম, ময়মনসিংহ।
আরও
আরও
.