উত্তর : হক
পাওয়ার পর দাওয়াত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এভাবে জাহান্নামের পথ অবলম্বন করা
নিতান্তই গোমরাহী। আল্লাহ বলেন, হে নবী! তুমি বলে দাও যে, হক আসে তোমার
প্রভুর পক্ষ থেকে। অতঃপর যে চায় তাতে বিশ্বাস স্থাপন করুক, আর যে চায় তা
প্রত্যাখ্যান করুক। আমরা যালেমদের জন্য জাহান্নাম প্রস্ত্তত করে রেখেছি’ (কাহফ ১৮/২৯)।
সুতরাং হক ছেড়ে কোন সুবিধাবাদী পথ অবলম্বন করা কখনো দাওয়াতের সঠিক কৌশল
নয়। রাসূল (ছাঃ)-কে পরকালীন সফলতা অর্জনকারী ‘গোরাবা’দের সম্পর্কে প্রশ্ন
করা হ’লে তিনি বলেন, তারা হ’ল অধিক সংখ্যক বদকার লোকদের মধ্যে অবস্থানকারী
অল্পসংখ্যক সৎ মানুষ। যাদের অবাধ্যতাকারীদের সংখ্যা তাদের আনুগত্যকারীদের
চাইতে বেশী হবে’ (আহমাদ হা/৬৬৫০, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৬১৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দুনিয়াতে সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত হ’ল নবীগণ, অতঃপর নেকী অনুপাতে অধিক নেককার ব্যক্তিগণ’ (তিরমিযী হা/২৩৯৮, ইবনু মাজাহ হা/৪০২৩)।
অতএব যতটুকু হক পাওয়া গেছে, আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে আপোষহীন ভাবে তার
অনুসরণ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য
পথ খুলে দেন’ ‘এবং এমন পথে রূযী দান করেন, যা সে কল্পনাও করেনি। আর যে
ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তিনিই তাঁর জন্য যথেষ্ট হন’ (তালাক ৬৫/২-৩)। তবে দাওয়াতী কর্মে ও আচরণে সর্বদা মধ্যপন্থা অবলম্বন করবেন এবং মন্দকে ভাল দ্বারা প্রতিরোধ করবেন (হামীম সাজদাহ ৩৪; বুখারী, মিশকাত হা/১২৪৬)।