উত্তর : মুমিনের পরিচয় হ’ল মেনে নেওয়া (হাশর ৫৯/৭)।
কারণ অনুসন্ধান করা নয়। বিশ্বাস রাখতে হবে যে, শরী‘আতের প্রতিটি বিধানই
মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারিত। তবে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনেক কিছু
প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন মৃত মাছ ভক্ষণ জায়েয হওয়ার পিছনে কারণ হ’ল- স্থলভাগের
সকল প্রাণী বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বণ ডাই অক্সাইড ত্যাগ
করে। তাই যখন এসব প্রাণীকে যবেহ করা হয়, তখন বিষাক্ত কার্বণ ডাই অক্সাইড
রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন শ্বাসরোধ করা হয় বা স্বাভাবিকভাবে এসব
প্রাণী মৃত্যুবরণ করে, তখন বিষাক্ত রক্ত দেহাভ্যন্তরে গোশতের সাথে থেকে
যায়। যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সেকারণ এসব মৃত প্রাণী খাওয়া নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বণ ডাই অক্সাইড মুক্ত।
সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করলেও তাতে ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না।
এজন্যই জলজ হালাল প্রাণী মৃত হ’লেও মানুষের জন্য তা হালাল করা হয়েছে (আত্বীয়া মুহাম্মাদ সালেম, শরহ বুলূগুল মারাম ২/৪)।