উত্তর : সাতটি অঙ্গের উপর ভর করে সিজদা করাই নিয়ম। এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) নিজে আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে ছাহাবায়ে কেরামকে আদেশ করেছেন। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি হাড় (অঙ্গ) দ্বারা সিজদা করি। কপাল, দুই হাত, দুই হাঁটু এবং দুই পায়ের অগ্রভাগ। আর আমরা যেন কাপড় ও চুল না গোটাই’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৮৮৭)। আববাস বিন আব্দুল মুত্ত্বালিব (রাঃ) বলেন ‘তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, যখন বান্দা সিজদা করে, তখন তার সাথে সাতটি অঙ্গ সিজদা করে। তার চেহারা, দুই হস্ত তালু, দুই হাঁটু ও দুই পায়ের পাতা’ (আবুদাঊদ হা/৮৯১; ইবনু মাজাহ হা/৮৮৫)

অত্র হাদীছ প্রমাণ করে যে, উক্ত সাতটি অঙ্গের উপর সিজদা করা ওয়াজিব। অতএব ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলির কোন একটি বাদ দিলে ছালাত বাতিল হবে। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অজ্ঞতাবশে কোন একটি অঙ্গ সিজদায় না গেলে ছালাত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিইয়াহ ২৭/৬৭-৬৮)

ইবনু ত্বাঊস স্বীয় নাকের দিকে ইশারা করে বলেন, এটি সপ্ত অঙ্গের একটি। সিন্ধী ও কুরতুবী বলেন, নাক চেহারারই অংশ। অতএব কপাল ও নাক দু’টিই মাটিতে রাখতে হবে। ‘হাত’ বলতে পাঁচ আঙ্গুল সহ ‘হস্ত তালু’ বুঝায়। যা সিজদার সময় স্বাভাবিকভাবে ক্বিবলামুখী থাকবে। ‘দুই পায়ের অগ্রভাগ’ বলতে আঙ্গুল সমূহের অগ্রভাগকে ক্বিবলামুখী করা বুঝায়। যেগুলিকে সাধ্যমত ক্বিবলামুখী করে রাখতে হবে (মির‘আত)






প্রশ্ন (১৪/২১৪) : আমার পোষা বিড়ালটি প্যারালাইজ্ড হওয়ার কারণে চলাফেরা করতে পারে না। পুরোপুরি শয্যাশায়ী। তার দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাকে যদি ইনজেকশনের মাধ্যমে মেরে ফেলা হয়, তাহ’লে গুনাহ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/১৯৪) : কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে হজ্জ করা ফরয?
প্রশ্ন (৩২/১৯২) : জনৈক আলেম বলেন, কারো মৃত্যুর খবরে প্রথমে আল-হামদুলিল্লাহ বলতে হবে তারপর ইন্নালিল্লাহ বলবে। একথার কোন ভিত্তি আছে কি? - -হারূনুর রশীদ, চোরকোল, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (৩৭/২৩৭) : ওযূ শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে দো‘আ পাঠ করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এসময় কোন দিকে ফিরে দো‘আ পাঠ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/৩১৮) : আমার স্ত্রীর ৭ ভরি এবং ১ বছরের মেয়ের ৬ ভরি সোনা আছে। এক্ষণে উভয়ের সোনা একত্রে হিসাব করে যাকাত দিতে হবে কি? - -আবিদ আনজুম, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (৩১/৩৯১) : অনেক প্রাইভেট কোম্পানীতে দাড়ি শেভ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে চাকুরী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : কোন কারণে ওযূ বা তায়াম্মুম করার সুযোগ না হ’লে, ওযূ বা তায়াম্মুম ছাড়াই ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্নঃ (১৫/৪১৫) : শাক্বীক্ব ইবনু সালামা (রাঃ) প্রায়ই নিম্নের দো‘আটি করতেন। ‘হে আল্লাহ! যদি আপনি আমাকে হতভাগ্য ও পাপিষ্ঠদের তালিকাভুক্ত করে থাকেন তাহ’লে তা মুছে ফেলুন এবং পুণ্যবান ও সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আর যদি আমাকে সৎকর্মশীলদের তালিকাভুক্ত করে থাকেন তাহলে তা বাকী রাখুন। আপনি যা ইচ্ছা মিটিয়ে থাকেন ও যা ইচ্ছা বাকী রাখেন। প্রকৃত লিখন আপনার কাছেই রয়েছে। এ হাদীছটি কি ছহীহ? এ দো‘আ সিজদায় ও তাশাহহুদের বৈঠকে পড়া যাবে কি? হাদীছটি ছহীহ হ’লে হরকত সহ ‘তাহরীকে’ প্রকাশের অনুরোধ করছি।
প্রশ্নঃ (১০/১৩০) : আমি একজন দোকানদার। মাঝে মাঝে অনেক রাতে দোকান থেকে বাড়ীতে আসি। কোন কোন রাতে জিন আমাকে ভয় দেখায়। কখনো রাস্তার ধারে বিশাল মূর্তি আকারে দাঁড়িয়ে থাকে। কখনো কোন পশুর রূপ ধারণ করে। এ বিষয়ে গ্রামের এক আলেমকে বললে তিনি এ সময় আযান দিতে বলেন। তাহ’লে শয়তান পালিয়ে যাবে। উক্ত কথা কি সঠিক? এ থেকে বাঁচার উপায় কী?
প্রশ্ন (১১/২১১) : যে সকল ছাত্র-ছাত্রী বাইরে পড়াশুনা করে, অথবা প্রবাসে থাকে, তারা কয়েকদিন বা কয়েকমাসের জন্য বাড়িতে আসলে ছালাত ক্বছর করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১০/২৫০) : ক্বিয়ামতের দিন উম্মতে মুহাম্মাদীকে চিনা যাবে তাদের ওযূর চিহ্ন দেখে। কিন্তু পূর্ববর্তী নবীদের উম্মতকে কিভাবে চেনা যাবে বা নবীগণ কীভাবে তাদের উম্মতকে চিনবেন? - - হাসীনুর রহমান, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (২০/১০০) : কা‘বা গৃহের দিকে দৃষ্টিপাত করা কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত? ছহীহ হাদীছের আলোকে জানতে চাই। - -রায়হান কবীর, ঢাকা।
আরও
আরও
.