উত্তর : অত্র
আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ বলেন, সেখানে (জাহান্নামে) তারা চিরকাল থাকবে, যতদিন
আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার প্রতিপালক যদি অন্য কিছু চান।
নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যা চান তা করে থাকেন। পক্ষান্তরে যারা ভাগ্যবান,
তারা চিরকাল জান্নাতে থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে। তবে তোমার
প্রতিপালক যদি অন্য কিছু চান। আর এ দান হবে অবিচ্ছিন্ন’।
প্রথম আয়াতে ‘তবে তোমার প্রতিপালক যদি অন্য কিছু চান’ দ্বারা তাওহীদপন্থী কবীরা গোনাহগারদের সম্পর্কে বলা হয়েছে বলে প্রাচীন ও আধুনিক বহু মুফাসসির মত প্রকাশ করেছেন। যাদেরকে আল্লাহ ফেরেশতা, নবী ও মুমিনদের সুফারিশক্রমে জাহান্নাম থেকে পর্যায়ক্রমে বের করে নিবেন। যারা বুঝে-শুনে খালেছ অন্তরে অন্ততঃ একবার কালেমা ত্বাইয়েবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করেছে’।
দ্বিতীয় আয়াতে ‘যতদিন আসমান ও যমীন বর্তমান থাকবে’ কথাটি আরবদের একটি প্রসিদ্ধ বাকরীতি। যা দ্বারা কোন বস্ত্তর চিরস্থায়ীত্ব বুঝানো হয় (কুরতুবী)। অত্র আয়াতে ‘তবে তোমার প্রতিপালক যদি অন্য কিছু চান’ বলে জান্নাতীদের চিরকাল শান্তিতে রাখার বিষয়টি আল্লাহর উপর অপরিহার্য নয় সেটা বুঝানো হয়েছে। বরং এটা তাঁর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তবে তাদের উপর তাঁর অনুগ্রহ সর্বদা থাকবে। সেকথা আয়াতের শেষে বলে দেয়া হয়েছে যে, ‘এ দান হবে অবিচ্ছিন্ন’ (ইবনু কাছীর, হূদ ১০৭-১০৮ আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।