উত্তর : প্রচলিত ছূফী মতবাদ একটি ভ্রান্ত মতবাদ, যার ব্যাপারে ইমামগণ সতর্ক করে গেছেন। নাছীবী বলেন, আমরা একদিন ইমাম মালেক (রহঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আবু আব্দুল্লাহ! আমাদের এলাকায় ছূফী মতবাদের কিছু লোক রয়েছে, যারা অনেক খায়। এরপর ক্বাছীদা আবৃত্তি করে এবং এক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে নেচে নেচে যিকির শুরু করে। ইমাম মালেক বললেন, তারা কি শিশু? সে বলল, না। তিনি বললেন, তারা কি পাগল? সে বলল, না বরং আলেম-ওলামা। তিনি বললেন, কোন মুসলমান এমনটি করে বলে জানি না (ইবনুল জাওযী, তালবীসু ইবলীস ১/৩২৭)। মারওয়ান বিন মুহাম্মাদ দামেশকী বলেন, ‘তিন শ্রেণীর মানুষের নিকট দ্বীন নিরাপদ নয়- ছূফী, গল্পকার ও বিদ‘আতী’ (কাযী ইয়ায, তারতীবুল মাদারেক ৩/২২৬)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ‘কোন লোক যদি দিনের প্রথম প্রহরে ছূফী মতবাদ গ্রহণ করে, তাহ’লে তুমি তাকে যোহরের সময় হ’তে না হ’তেই একেবারে আহম্মক অবস্থায় পাবে’ (বায়হাক্বী, মানাক্বিবুশ শাফেঈ ২/২০৭)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন ছূফী মতবাদে থাকবে, সে আর কখনো সঠিক আক্বীদায় ফিরতে পারবে না’ (ইবনুল জাওযী, তালবীসু ইবলীস ১/৩২৭)। তিনি বলেন, ‘আমি ছূফীদের সংস্পর্শে গিয়ে কেবল দু’টি বিষয়ে উপকৃত হয়েছি। তারা বলে, ‘সময় তরবারী তুল্য। তুমি যদি তাকে না কাটো তাহ’লে সে তোমাকে কাটবে। আর তুমি যদি আল্লাহকে নিয়ে ব্যস্ত না হও, তাহ’লে বাতিল তোমাকে নিয়ে ব্যস্ত হবে’ (ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালেকীন ৩/১২৪)।
অন্যদিকে রাসূল (ছাঃ) সন্তানদের প্রতি সমান ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩০১৯)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের পিতা ও পুত্রদের মধ্যে কে তোমাদের জন্য অধিক উপকারী, তা তোমরা জানো না’ (নিসা ৪/১১)। এক্ষণে শ্বশুরবাড়ীর লোকদের ভ্রান্ত আক্বীদা ও বদ আখলাকের কারণে তাদের সাথে চলাফেরা নিজের আক্বীদা ও আমলের জন্য নিরাপদ মনে না করলে তাদের থেকে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে মুসলিম হিসাবে এবং নিকটাত্মীয় হিসাবে তাদের সাথে সদাচরণ বজায় রাখবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হ’লেও তোমরা তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করো (ছহীহাহ হা/১৭৭৭)।
প্রশ্নকারী : খাদেমুল ইসলাম, জেদ্দা, সঊদী আরব।