উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত বুঝে করুক বা না বুঝে করুক প্রতিটি হরফের বিনিময়ে দশটি নেকী রয়েছে (তিরমিযী হা/২৯১০; মিশকাত হা/২১৩৭)। তবে বুঝে পাঠ করলে অতিরিক্ত ছওয়াব পাওয়া যাবে। কেননা কুরআন তেলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য হ’ল উপদেশ গ্রহণ করা, যার জন্য কুরআন বুঝা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘এটি এক বরকতমন্ডিত কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি। যাতে লোকেরা এর আয়াত সমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানীরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (ছোয়াদ ৩৮/২৯)। তিনি আরও বলেন, তবে কি তারা কুরআন গবেষণা করে না? নাকি তাদের হৃদয়গুলি তালাবদ্ধ? (মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)। ছাহাবায়ে কেরাম কুরআনের দশটি আয়াত শুনলে তা না বুঝে আর দশটি আয়াতের দিকে অগ্রসর হতেন না (বায়হাক্বী হা/৫৪৯৫, ৩/১১৯; হাকেম হা/২০৪৭, ১/৭৪৩)। তাছাড়া যারা কুরআন বুঝেনা তাদের বিষয়ে আল্লাহ বলেন, আর তাদের মধ্যে একদল নিরক্ষর ব্যক্তি রয়েছে, যারা আল্লাহর কিতাবের কিছুই জানে না কেবল একটা ধারণা ব্যতীত। তারা স্রেফ কল্পনা করে মাত্র (বাক্বারা ২/৭৮)। সুতরাং কুরআন না বুঝে তেলাওয়াত করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে। তবে বুঝে পড়া, অনুধাবন করা ও তদনুযায়ী আমল করাই কুরআন তেলাওয়াতের মূল উদ্দেশ্য ও অধিক ছওয়াবের কারণ। সুতরাং প্রত্যেক মুসলামানের উচিৎ সাধ্যমত কুরআন বুঝে ও অনুধাবন করে পড়া এবং তদনুযায়ী আমল করা (ইবনুল ক্বাইয়িম, মিফতাহু দারিস সা‘দাহ ১/১৮৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ৪৭)। এজন্য পাঠ করুন : হাফাবা প্রকাশিত ‘কুরআন অনুধাবন’ বই।
প্রশ্নকারী : রিয়াযুল ইসলাম
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।