উত্তর : আল্লাহর নিকট থেকে কল্যাণ ইঙ্গিত প্রার্থনার জন্য যে নফল ছালাত আদায় করা হয়, তাকে ‘ছালাতুল ইস্তেখারাহ’ বলা হয়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় কোন্ শুভ কাজটি করা মঙ্গলজনক হবে, সে বিষয়ে আল্লাহর নিকট থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় বিশেষভাবে এই ছালাত আদায় করা হয়। কোন দিকে ঝোঁক না রেখে সম্পূর্ণ নিরাবেগ ও খোলা মনে ইস্তেখারার ছালাত আদায় করবে। অতঃপর যেদিকে মন টানবে, সেভাবেই কাজ করবে। এজন্য ফরয ছালাত ব্যতীত ইস্তেখারার নিয়ত সহ দু’রাক‘আত নফল ছালাত দিনে বা রাতে যেকোন সময়ে পড়া যায়। ইস্তেখারার দো‘আ সালাম ফিরানোর পরে বা আগে পড়া যায় (বুখারী হা/১১৬২; আবুদাঊদ হা/১৫৩৮; মির‘আত ৪/৩৬২, হা/১৩৩২-এর আলোচনা)। অন্যান্য ছহীহ হাদীছে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও সালামের মধ্যবর্তী সময়ে বিশেষ দো‘আ সমূহ করতেন (নাসাঈ হা/১১৬৩)। সে হিসাবে ইস্তেখারাহর দো‘আটিও শেষ বৈঠকে বসে ধীরে-সুস্থে করা বাঞ্ছনীয় (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ২৬৩ পৃ.)। ইস্তেখারার ছালাত নিজেকেই আদায় করতে হবে। ইবনু ওমর ও ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, কেউ কারু পক্ষ থেকে ছিয়াম বা ছালাত আদায় করতে পারে না’ (মুওয়াত্ত্বা হা/১০৬৯, মিশকাত হা/২০৩৫; ত্বাহাভী, শরহ মুশকিলুল আছার ৬/১৭৬; নাসাঈ, সুনানুল কুবরা হা/২৯৩০)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, গাযীপুর, ঢাকা।