উত্তর: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হ’লে এবং তা এক বছর পূর্ণ হ’লে তার উপর যাকাত আদায় করা ফরয (তিরমিযী হা/৬৩১, মিশকাত হা/১৭৮৭)।
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি যাকাত আদায়ের পূর্বে তার ঋণ পরিশোধ করবে। হযরত ওছমান
(রাঃ) বলেন, এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে তাহলে
সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার
যাকাত আদায় করবে (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৮৭৩, ইরওয়া ৩/৩৪১ সনদ ছহীহ)। যদি ঋণ পরিশোধ না করে, তাহ’লে যাকাতযোগ্য সব সম্পদের উপরেই যাকাত আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ হ’তে ছাদাক্বা (যাকাত) গ্রহণ কর। যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে’ (তওবা ৯/১০৩)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামনের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে বললেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে’ (বুখারী হা/১৩৯৫)। এখানে ঐ ধনী ব্যক্তিরা ঋণগ্রস্ত কি-না, সেটা শর্ত করা হয়নি।