উত্তর : ইসলামে দিবস পালনের কোন বিধান নেই। এগুলো বিজাতীয় রীতি হিসাবে রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু হয়েছে। আর যেগুলো ইসলাম সমর্থন করে না, সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা ও সহযোগিতা করা যাবে না (মায়েদাহ ৫/২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি (ক্বিয়ামতের দিন) তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)। অতএব সাধ্যমত এধরনের বিজাতীয় অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি বাধ্যগত অবস্থায় অংশগ্রহণ করতেই হয়, তবে অন্তরে ঘৃণা রাখবে। সরকার বাধ্য করলে এর দায়ভার ও পাপ বহন করবে সরকারই। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমান আনার পরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কুফরী করে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্রোধ এবং কঠিন শাস্তি। কিন্তু যাকে বাধ্য করা হয়, অথচ তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে (তার কোন চিন্তা নেই)’ (নাহল ১৬/১০৬)। ইবনু কাছীর বলেন, সাধ্যমত ঈমানের উপর টিকে থাকাই মৌলিক কর্তব্য। তবে বিদ্বানগণ এ বিষয়ে একমত যে, কুফরীতে বাধ্য করা হ’লে বাধ্যকারীর কথামত কাজ করা জায়েয (ইবনু কাছীর)। সর্বোপরি সুযোগ থাকলে ভিন্ন কোন পেশা অবলম্বন করাই নিরাপদ ও উত্তম।
প্রশ্নকারী : তাওফীক আব্দুল্লাহ, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।