উত্তর : সকল স্থানে ছহীহ সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার চেষ্টা করবে। কারণ কারো নিকট সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তা গোপন করা বা তার বিপরীত আমল করা জায়েয নয়। কেবলমাত্র জীবননাশের আশংকা থাকলে এটা করা যায়। যেমন করেছিলেন ‘আম্মার বিন ইয়াসির (রাঃ)। যাকে কঠিনভাবে নির্যাতন করা হয় কুফরীর জন্য। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি তাদের কথা মেনে নেন। পরে মুক্তি পেয়েই তিনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দরবারে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘ঐ সময় তোমার অন্তর কিরূপ ছিল’? তিনি বললেন, ‘ঈমানের উপর অবিচল’। তখন আল্লাহ নাযিল করেন, ‘ঈমান আনার পরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কুফরী করে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্রোধ এবং কঠিন শাস্তি। কিন্তু যাকে বাধ্য করা হয়, অথচ তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে (তার কোন চিন্তা নেই)’ (নাহল ১৬/১০৬)। একমাত্র বেলাল ছিলেন, যিনি তাদের কথা মত কাজ করতেন না, বরং কেবলি বলতেন আহাদ, আহাদ (সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ১৪৩ পৃ.)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি যখন তোমাদেরকে কোন বিষয়ে নির্দেশ করবো তা যথাসাধ্য পালন করবে এবং যে বিষয়ে নিষেধ করবো তা পরিত্যাগ করবে (মুসলিম হা/১৩৩৭; মিশকাত হা/২৫০৫)।
প্রশ্নকারী : মাকছূদুর রহমান, ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।