উত্তর : হাদীছটি বিভিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা ফেরাঊনকে যখন পানিতে ডুবিয়ে দিলেন তখন সে বলল, ‘আমি ঈমান আনলাম তার প্রতি, যার উপর বনু ইসরাঈল ঈমান এনেছে। নিশ্চয়ই তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই’ (ইউনুস ১০/৯০)। জিব্রীল বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি যদি আমাকে ঐ সময় দেখতেন যখন আমি সমুদ্র হ’তে কালো কাদামাটি তুলে তার মুখে ঢালছিলাম যাতে আল্লাহ তা‘আলার অনুগ্রহ তাকে পরিবেষ্টন না করে (তিরমিযী হা/৩১০৭-০৮; আলবানী উক্ত বর্ণনার সনদ হাসান লিগায়রিহি বলেছেন (ছহীহাহ হা/২০১৫)। আরনাঊত্ব ইবনু আববাস থেকে মওকূফ বলেছেন (আহমাদ হা/২১৪৪, ২২০৩)।
অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, ফেরাঊন যখন আযাব প্রত্যক্ষ করল, তখন সে ঈমান আনার সংকল্প করল। কিন্তু জিব্রীল তার মুখে মাটি ভরে দিলেন। তখন সে জিব্রীলের নিকট সত্তুর বার সাহায্য প্রার্থনা করল। কিন্তু জিব্রীল তাকে সাহায্য করলেন না। তখন আল্লাহ জিব্রীলকে ভৎর্সনা করে বললেন, ফেরাঊন তোমার নিকট ৭০ বার সাহায্য চাইল তুমি তাকে সাহায্য করলে না? আমার ইয্যতের কসম! সে যদি আমার নিকট সাহায্য চাইত তাহ’লে আমি তাকে সাহায্য করতাম (সুয়ূতী, ই‘জাযুল কুরআন ২/৩৬৯-৭০)। বর্ণনাটি সনদবিহীন, যা অগ্রহণযোগ্য। তাছাড়া বর্ণনাটি মুনকার ও কুরআন বিরোধী। কারণ ফেরাঊন ঈমান আনার কথা বলেছিল এবং আল্লাহর নিকটেই সাহায্য চেয়েছিল (গাফের ৪০/ ৮৪-৮৫)। কিন্তু আল্লাহ তার শেষ মুহূর্তের ঈমান কবুল করেননি। তিনি বলেন, ‘এখন? অথচ ইতিপূর্বে তুমি অবাধ্যতা করেছিলে এবং ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে’ (ইউনুস ১০/৯১)।