উত্তর : এটি আদৌ জায়েয নয়। কেননা আয়াতটির অর্থ হ’ল, ‘আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফায়ছালা করেন, তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে (যুমার ৩৯/৪২)

আয়াতের মর্ম এই যে, মানুষ ঘুমিয়ে পড়লে তাদের রূহ আল্লাহ নিজ ক্ষমতায় উঠিয়ে নেন। এরপর যাদের মৃত্যুর সময় হয়ে গেছে তাদের রূহ আর ফেরত দেন না। আর যাদের মৃত্যুর সময় হয়নি, তাদের রূহ নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল পূর্ণ হওয়ার জন্য ফেরত দেন (ইবনু কাছীর অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি তোমাদেরকে রাত্রিতে (ঘুমের মাধ্যমে) মৃত্যু দান করেন...। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেন, যাতে তোমাদের নির্ধারিত আয়ুষ্কাল পূর্ণ হয়। পরিশেষে তাঁর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল...’ (আন‘আম ৬/৬০-৬১)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ শয্যা গ্রহণ করতে যায়, তখন সে যেন পড়ে, হে আমার প্রতিপালক! আপনারই নামে আমার দেহটা বিছানায় রাখলাম এবং আপনারই নামে আবার উঠবো। যদি আপনি ইতিমধ্যে আমার জান কবয করে নেন, তাহ’লে তার উপর রহম করবেন। আর যদি তা আমাকে ফিরিয়ে দেন, তবে তাকে এমনভাবে হেফাযত করবেন, যেভাবে আপনি আপনার নেক বান্দাদের হেফাযত করে থাকেন’ (বুখারী হা/৬৩২০; মিশকাত হা/২৩৮৪)। এজন্য মৃত্যুকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ওফাতে কুবরা তথা মৃত্যু ও ওফাতে ছুগরা তথা ঘুম (ইবনু কাছীর ৭/১০১-১০২)

উপরোক্ত আলোচনায় বুঝা যায় যে, উক্ত আয়াতে যিম্মীকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করার কোন দলীল নেই। বরং এটি চূড়ান্তভাবে একটি খেয়ানত মাত্র।






প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : আছহাবুল উখদূদের লোকসংখ্যা কতজন ছিল? সঠিক সংখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩২/৩৫২) : রামাযান মাসে দিনের বেলায় কেউ যদি ভুল করে পূর্ণরূপে খাদ্যগ্রহণ করে ফেলে, তাহ’লে সে কি ঐ ছিয়াম পূর্ণ করবে, নাকি পরে তার ক্বাযা আদায় করবে? - -দীদারুল ইসলাম, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : ছালাতে ক্বিয়ামরত অবস্থায় পায়ের সাথে পা বা টাখনুর সাথে টাখনু লাগানোর সঠিক নিয়ম জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৩/৪৭৩) : আমরা দুই ভাই-বোন। আমাদের পিতা তার ক্রয়কৃত অধিকাংশ জমি আমাদের মায়ের নামে লিখে দিয়েছেন। মায়ের মৃত্যুর পর তার জমি কিভাবে ভাগ হবে?
প্রশ্ন (৩৬/৩৯৬) : আল্লাহ তা‘আলা যদি সাত আসমানের উপরে থাকেন, তাহলে আমরা সাত আসমানের নীচে পৃথিবীতে কার সামনে দাঁড়িয়ে ছালাত বা ইবাদত করি? এই বিশ্বাসে ইবাদত করলে ইবাদত হবে কি? চারতলায় রাখা কোন মূর্তিকে একতলায় দাঁড়িয়ে পূজা করাকে হিন্দুরা সঠিক মনে করে না। তাহলে কি আমরা আল্লাহর গুণাবলীকে সিজদা করি? আল্লাহ পাকের সত্তা কি আরশে সমাসীন?
প্রশ্ন (২/২৪২) : আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এক সাথে থাকি। অনেকে ছালাত আদায় করে না; বরং অশ্লীল কাজের সাথে জড়িত। তাদের সাথে থাকা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৯৬) : ওমর (রাঃ) মেয়েদের মোহরানা নির্ধারণ করে দিলে জনৈক মহিলা তার বিরোধিতা করেছিলেন মর্মে যে ঘটনা প্রচলিত আছে তার প্রমাণ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : জনৈক আলেম বলেন, সিজদা দু’প্রকার। সম্মানের সিজদা ও ইবাদতের সিজদা। মানুষ মানুষকে সম্মান দেখিয়ে সিজদা করতে পারে। যেমন ফেরেশতাগণ আদম (আঃ)-কে সিজদা করেছিলেন। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -ডা. আব্দুল্লাহ রোমান, ফুলতলা, বগুড়া।
প্রশ্ন (১/৪০১) : রামাযান মাসে ইফতারীর কিছু পূর্বে নারীদের ঋতু শুরু হ’লে ঐদিনের ছিয়ামটি রাখা যাবে কি? - -উম্মে হাবীবা, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩/৪৩) : আমাদের ইমাম ছাহেব খুৎবায় বলেন, আব্দুর রহমান, আব্দুল খালেক এসব নামে আল্লাহর গুণাবলী প্রকাশ পাওয়ায় এরূপ নাম রাখা জায়েয নয়। একথা সঠিক কি? - -আনীসুর রহমানদারিয়া, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (২২/২৬২) : হজ্জ ব্রত পালনকালে অজ্ঞতাবশে বিভিন্ন নামে একাধিক ওমরা করেছি। এক্ষণে উক্ত হজ্জ কি বাতিল বলে গণ্য হবে?
প্রশ্ন (৭/১২৭) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, কোন ব্যক্তি ওয়ায মাহফিলে যাওয়ার ইচ্ছা করে সামনের পা বাড়িয়ে পিছনের পা তোলার আগেই সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
আরও
আরও
.