উত্তর : এক্ষেত্রে
ইজতিহাদই অগ্রগণ্য হবে। কেননা ইজতিহাদ হ’ল, কোন বিষয়ে কুরআন, ছহীহ সুন্নাহ
ও ইজমায়ে ছাহাবার মধ্যে স্পষ্ট সমাধান না পাওয়া গেলে উক্ত মূলনীতিগুলির
আলোকে সমাধান দানের সার্বিক প্রচেষ্টা চালানো। অন্যদিকে যঈফ হাদীছ কোন
ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম বুখারী, মুসলিম, ইয়াহইয়া ইবনু মাঈন, ইবনুল
আরাবী, ইবনু হযম, ইবনু তায়মিয়াহ প্রমুখ শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিছগণ সকল
ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছ বর্জনযোগ্য বলেছেন (বিঃ দ্রঃ জামালুদ্দীন ক্বাসেমী, ক্বাওয়াইদুত তাহদীছ; আশরাফ বিন সাঈদ, হুকমুল ‘আমাল বিল হাদীছিয যঈফ)।
শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, ‘যঈফ হাদীছ অতিরিক্ত ধারণার ফায়েদা
দেয় মাত্র। তবে এ বিষয়ে সকল বিদ্বান একমত যে, তার উপর আমল করা বৈধ নয়’ (তামামুল মিন্নাহ, পৃঃ ৩৪)। অতএব যঈফ হাদীছ কোন ক্ষেত্রেই দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়।