উত্তর : দাওয়াতের দায়িত্ব নারী ও পুরুষের উপর সমান। তবে নারীদের ক্ষেত্র আলাদা। তারা পর্দার মধ্যে থেকে নারী সমাজের মধ্যে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করবেন’ (সূরা তওবা ৯/৭১; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/২৪০; উছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৩/২৩৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের সাথে মিলেমিশে বসবাস করে এবং তাদের দেওয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করে, সে ঐ মুসলিমের চেয়ে উত্তম, যে মানুষের সাথে মিশে না এবং তাদের দেওয়া কষ্ট সহ্য করে না’ (তিরমিযী হা/২৫০৭; ইবনু মাজাহ হা/৪০৩২; ছহীহাহ হা/৯৩৯)। জামাআ‘তবদ্ধভাবে কাজ করলে সে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দেয়ার মতো দু’টি ফরয কাজ সহজে সম্পাদন করতে পারে। এর পাশাপাশি সে তাদের সাথে সদাচরণের সুযোগ পায়। যে ব্যক্তি সমাজ জীবনে মানুষের সাথে লেনদেনে ও আচার-অনুষ্ঠানে মেলামেশা করেনি তথা পার্থিব জীবনে দুঃখ-কষ্ট ও জ্বালা-যন্ত্রণায় পতিত হয়নি, এমন ব্যক্তির চেয়ে যে ব্যক্তি এসব কিছুতে পতিত হয়ে ধৈর্যের সাথে সেটাকে অতিক্রম করে, সে অনেক উত্তম মুমিন (তুহফাতুল আহওয়াযী ৭/১৭৮)। তবে এ কাজে অবশ্যই স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি নিবে এবং পূর্ণ পর্দার বিধান মেনে চলবে।
প্রশ্নকারী : হাফীযুর রহমান, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।