উত্তর : রং, স্বাদ ও গন্ধ বিনষ্ট
হ’লে সে পানি নাপাক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ‘জাল্লালাহ’ অর্থাৎ ময়লা-আবর্জনা
ভক্ষণকারী প্রাণীর গোশত খেতে ও তার দুধ পান করতে এবং তার পিঠে আরোহন করতে
নিষেধ করেছেন’ (আবুদাঊদ হা/৩৭৮৬; তিরমিযী হা/১৮২৫; নাসাঈ হা/৪৪৬০)।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে এবং
ময়লা-আবর্জনা ভক্ষণকারী প্রাণীর পিঠে চড়তে এবং তার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন’
(আবুদাঊদ হা/৩৮১১; নাসাঈ হা/৪৪৫৯)। ঐসব নাপাক খাদ্য ভক্ষণকারী
হালাল প্রাণী, যেমন মুরগী, মাছ ইত্যাদিকে উক্ত ময়লা খাদ্য ও পানীয় থেকে
কিছু দিন আটকে রেখে পবিত্র খাদ্য ও পানীয় খাওয়ানোর পর তার গন্ধ দূরীভূত
হ’লে ও গোশত রুচিকর হয়েছে বলে নিশ্চিত হ’লে তা খাওয়া যাবে। ইবনু ওমর (রাঃ)
ময়লা ভক্ষণকারী মুরগী তিনদিন আটকে রেখে তারপর যবহ করে খেতেন’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, ইরওয়া হা/২৫০৫)। অতএব উক্ত লেক-এর মাছ ধরে কিছুদিন পবিত্র পানিতে রেখে দুর্গন্ধ দূরীভূত হ’লে তা খাওয়া বৈধ হবে।