উত্তর : সাধারণভাবে
অমুসলিম বা কাফির-মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয। আল্লাহ বলেন, ‘ধর্মের
ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে না এবং তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি
থেকে বিতাড়িত করে না, তাদের সাথে সদাচরণ করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন
না’ (মুমতাহিনা ৬০/৮)। রাসূল (ছাঃ) কাফেরদের দেয়া হাদিয়া গ্রহণ
করেছেন। ইমাম বুখারী এ ব্যাপারে অধ্যায় রচনা করেছেন, بَابُ قَبُولِ
الهَدِيَّةِ مِنَ المُشْرِكِيْنَ ‘মুশরিকদের হাদিয়া গ্রহণ করা অধ্যায়’ (৩/১৬৩ পৃ.; হা/২৬১৫-২৮)।
তেমনিভাবে মুশরিকদেরকেও হাদিয়া প্রদান করা যাবে। ওমর (রাঃ) তাঁর একটি
পোষাক মক্কায় তাঁর অমুসলিম ভাইকে হাদিয়া হিসাবে প্রেরণ করেছিলেন (বুখারী হা/২৬১৯)।
তবে তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব বা পূজা-পার্বণ উপলক্ষ্যে কোন উপহার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এতে তাদের ভ্রান্ত উৎসবের প্রতি সমর্থন করা হয় (মায়েদা ৫/২)। তবে যদি তা সমর্থনসূচক না হয় বরং প্রতিবেশীসুলভ হয়, তবে তা গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন আলী (রাঃ), আয়েশা (রাঃ) প্রমুখ অনুরূপ হাদিয়া গ্রহণ করেছিলেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৪৩৭১; বায়হাক্বী হা/১৮৮৬৫)। এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত থাকা আবশ্যক। (১) এই হাদিয়া যেন কোন হারাম দ্রব্য বা তাদের উৎসবে যবেহকৃত পশু থেকে না হয় (২) তাদের উৎসবের বিশেষ কোন প্রতীক যেমন মোমবাতি, ডিম ইত্যাদি না হয় (৩) মুশরিকদের আক্বীদা-বিশ্বাসগত ভ্রান্তি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, যাতে তাদের উৎসবের ব্যাপারে কোন ভালোবাসা বা অন্তরে আকর্ষণ সৃষ্টি না হয় (৪) হাদিয়া গ্রহণ যেন তাদের প্রতি বিশেষ ভালোবাসা থেকে না হয়; বরং তাদের মধ্যে ইসলাম গ্রহণের প্রতি আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২২৭, ২৫১)।
প্রশ্নকারী : আজমল হোসাইন, গাযীপুর।