উত্তর : ফাতেমা (রাঃ)-কে হত্যা করা হয়নি; বরং তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর ছয় মাস পরে মারা যান (বুখারী হা/৩০৯৩; মুসলিম হা/১৭৫৯)। ১১ হিজরীর ৩রা রামাযান মঙ্গলবার রাতে ৩০ অথবা ৩৫ বছর বয়সে ফাতেমা (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন (আল-বিদায়াহ ৫/২৬৭-৭০, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ২/৯৫-১১১, দ্রঃ সীরাতুর রাসূল ৭৯ পৃ.)। ঐতিহাসিক মাদায়েনী বলেন, ফাতেমা (রাঃ) ১১ হিজরীর তৃতীয় রামাযান সোমবারে মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর বয়স ২৫-২৯ বছর হয়েছিল। বাকী‘ গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল (আব্দুর সাত্তার শায়খ, ফাতিমাতুয যাহরা (দারুল কলম), ৩৫২, ৩৫৭-৩৫৮ পৃ.)। হযরত ফাতেমা (রাঃ)-কে তাঁর স্বামী হযরত আলী (রাঃ) গোসল দিয়েছিলেন (বায়হাক্বী ৩/৩৯৭, দারাকুৎনী হা/১৮৩৩, সনদ হাসান, দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১২০-২১ পৃ.)। উল্লেখ্য যে, শী‘আদের গ্রন্থসমূহে পাওয়া যায় যে, হযরত ওমর (রাঃ)-এর নির্দেশনায় কুনফুয ফাতেমা (রাঃ)-কে আঘাত করেছিল। ফলে তাঁর গর্ভপাত ঘটে এবং পরবর্তীতে সেই আঘাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন (বিহারুল আনওয়ার ৪৩/১৭০)। এই ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্বীকৃত কোন ইতিহাস গ্রন্থে এর বিন্দুমাত্র উল্লেখ পাওয়া যায় না।

প্রশ্নকারী : সাখাওয়াত হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।







প্রশ্ন (৩/৪৩) : অনেক ব্যক্তি বলেন, রাসূল (ছাঃ) যেহেতু হিজামা করিয়ে দীনার বা দিরহাম না দিয়ে ২ ছা‘ খাদ্য দিয়েছেন, সুতরাং হিজামা করিয়ে খাদ্যই দেওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে তারা হিজামার খাদ্যের পারিশ্রমিককে ছাদাক্বাতুল ফিৎরের সাথে ক্বিয়াস করেছেন। এ ব্যাপারে কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফদের বক্তব্য কি?
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : কুরবানীর বকরী ক্রয়ের কিছুদিন পর বকরীর পায়ের খুর বড় হওয়ায় খুঁড়িয়ে হাটে। এমতাবস্থায় পায়ের ক্ষুর কাটা যাবে কি? অথবা যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় কুরবানী জায়েয হবে কি? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : আমাদের এলাকার প্রায় মসজিদে উন্নয়নের জন্য সমাবেশ করা হয় এবং সূদখোর, ঘুষখোর সহ আমভাবে সবার টাকা গ্রহণ করা হয়। আবার উপস্থিত শ্রোতাদের খাবারের ব্যবস্থা উক্ত দানের টাকা থেকেই করা হয়। এক্ষণে সবার টাকা গ্রহণ করা এবং সেই টাকা দিয়ে সবাইকে খাওয়ানো জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : ডাঃ যাকির নায়েকের লেকচারে শুনেছি, ‘গসপেল অব ম্যাথিউ’ গ্রন্থের ১৯ অধ্যায়ের ১৬ ও ১৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, একজন লোক এসে ঈসা (আঃ)-কে বলল, হে মহান শিক্ষক! জান্নাতে যাওয়ার জন্য আমি কী কী কাজ করব? ঈসা (আঃ) বললেন, তুমি আমাকে মহান বলছ কেন? মহান একজন ছাড়া আর কেউই নন। তিনি হলেন আল্লাহ। প্রশ্ন হ’ল, আমরা মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে মহান বলতে পারি কি? এছাড়া অনেকে বলে, মহান নেতা, মহান মে দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস ইত্যাদি। এগুলো বলা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : জিবরীল (আঃ)-এর নিজস্ব আকৃতির ব্যাপারে কিছু জানা যায় কি? রাসূল (ছাঃ) এবং ছাহাবায়ে কেরামের সামনে কোন আকৃতিতে তিনি আগমন করতেন? - -ইহসান আলী, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৪/১৪) : একটি মিথ্যা বললে সাত হাযার বছর জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে’- এ কথার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (২২/৪৬২) : ক্বিয়ামত না হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) মি‘রাজে গিয়ে জান্নাত-জাহান্নামে মানুষ দেখতে পেলেন কিভাবে?
প্রশ্ন (১৪/১৪) : ছালাতের সময় মুওয়াযযিন বা যিনি ইক্বামত দিবেন তাকে ইমামের পিছনে দাঁড়ানো আবশ্যক কি?
প্রশ্ন (৬/৪৬) : জনৈক ব্যক্তি কাদিয়ানী মতবাদের অসারতা প্রমাণের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর পর কোন নবী আসবেন না বলে আল্লাহর নামে কসম খেয়ে ৫ম বার বলেন ‘আমি যদি মিথ্যা বলি তবে আমার উপর গযব নাযিল হৌক’। দাওয়াতী ক্ষেত্রে এভাবে কসম খাওয়ায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৭/১০৭) : আমার এক নাস্তিক বন্ধু প্রশ্ন করেছে যে, কুরআনে যদি সব কিছুর বর্ণনা থেকে থাকে, তবে আমাদের নিত্যদিনে ভক্ষণকৃত সবজি ও ফলসমূহের নাম নেই কেন? - -উম্মে হাসীবাহ, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (৮/২৪৮) : মহিলা মাইয়েতের জন্য কাফনের কাপড় কয়টি? কাফনের কাপড়ের ডান দিক উপরে থাকবে নাকি বাম দিক?
প্রশ্ন (২৩/৪৬৩) : ‘একটি মাছির কারণে এক ব্যক্তি জান্নাতে গেল এবং আরেক ব্যক্তি জাহান্নামে গেল’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.