উত্তর : সন্তানদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের মাঝে সাধ্যমত সমতা রক্ষা করতে হবে। সম্ভবত প্রশ্নটি এসেছে নিম্নোক্ত হাদীছটি অনুসারে- একদিন রাসূল (ছাঃ)-এর পাশে একজন ছাহাবী বসে ছিলেন। তার পুত্র সন্তানটি আগমন করলে সে চুমু দিয়ে নিজের কোলে বাসালো। একটু পরে তার কন্যা সন্তানটি আসলে তাকে পাশে বসিয়ে দিল। এটি দেখে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তুমি উভয়ের মাঝে ইনছাফ করলে না কেন? (বায়হাক্বী শু‘আবুল ঈমান হা/৮৭০; ছহীহাহ হা/২৯৯৪)। এখানে মেয়েকে বেশী ভালবাসার কথা বলা হয়নি; বরং কারও প্রতি বৈষম্য না করার কথা বলা হয়েছে, সেটা ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। দ্বিতীয়তঃ জীবিত অবস্থায় ছেলে ও মেয়েদের কোন সম্পত্তি দান করলে মীরাছ বণ্টনের বিধান অনুযায়ী মেয়েদেরকে ছেলের অর্ধেক হিসাবে দিতে হবে। আত্বা বলেন, তারা আল্লাহর বণ্টন অনুযায়ী সন্তানদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করতেন (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৬/৩৩৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ১৬/২১৩; আব্দুল আযীয, আত-তাহজীল ফী তাখরীজে মা-লাম ইউখারাজ ফিল ইরওয়া ১৯১ পৃ:)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, মীরাছ অনুপাতে সন্তানদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করে ইনছাফ করা ওয়াজিব (আল-ইখতিয়ারাত ৫১৬ পৃ:)

উল্লেখ্য যে, সন্তানদের বিশেষ দান করার ব্যাপারে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়। এক- যদি পিতা সন্তানদের কোন সম্পদ হেবা বা দান করতে চান তাহ’লে সকল সন্তানকে সমানভাবে দিতে হবে। আর মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক দিতে হবে। তবে কাউকে বেশী দিতে চাইলে অন্য শরীকদের সম্মতি থাকতে হবে, যাতে তাদের মাঝে পক্ষপাতিত্ব ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি না হয়। দুই- বিষয়টি যদি সাধারণ ব্যয়ের ক্ষেত্রে হয় তাহ’লে কমবেশীতে বাধা নেই। যেমন দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে মেডিকেলে পড়ে যার খরচ অনেক বেশী। অপরদিকে আরেক ছেলে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যার খরচ অনেক কম। অনুরূপভাবে কোন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী বা অভাবী সন্তানের জন্য অতিরিক্ত খরচ করা ইত্যাদি। এরূপ খরচের ক্ষেত্রে কমবেশী করাতে কোন দোষ নেই (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৫/৩৮৯; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/৬৩)। আর ‘যদি তুমি দানের ক্ষেত্রে কাউকে প্রাধান্য দিতে চাও তাহ’লে মেয়েদের প্রাধান্য দিবে’-মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (যঈফাহ হা/৩৪০)






প্রশ্ন (১৯/২১৯) : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২৮/১৪৮) : যিলহজ্জ মাসের ১ তারিখ হতে ১০ই যিলহজ্জ পর্যন্ত ছিয়াম রাখা যায় কি?
প্রশ্ন (১১/২৯১) : মৃত ব্যক্তির জন্য মসজিদের মুছল্লীদেরকে নিয়ে হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি? কেউ মৃতের জন্য দো‘আ চাইলে কিভাবে দো‘আ করতে হবে?
প্রশ্নঃ (১৫/৩৩৫) : জনৈক বক্তা বলেছেন, সূরা বাক্বারায় এমন একটি আয়াত আছে যা পাঠ করলে কেউ জাহান্নামে গেলেও তাকে আগুনের তাপ লাগবে না, একটি পশমও পুড়বে না। প্রশ্ন হ’ল সেটা কত নম্বর আয়াত এবং কতবার পড়তে হবে?
প্রশ্ন (১/২৪১) : ওআইসি-র সিদ্ধান্ত মতে বিশ্বের যে কোন স্থানে রামাযানের চাঁদ দেখা গেলে কি সকল স্থানে সেটি প্রযোজ্য হবে?
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : বেকার স্বামীর জন্য স্ত্রীর উপার্জন থেকে পরিবার পরিচালনার যাবতীয় ব্যয় করা জায়েয হবে কি? - -আবু হানীফ, বাগাতিপাড়া, নাটোর।
প্রশ্ন (৩২/১৯২) : শরী‘আতের কোন বিধান রহিত হয় কি? সশব্দে আমীন বলা, ক্বিয়াম অবস্থায় পায়ের সাথে পা মিলানো ইত্যাদি বিধানগুলো রহিত হয়ে গেছে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৯৪) : মসজিদ কমিটি বিবাহ উপলক্ষে বর পক্ষ হ’তে বাধ্যতামূলক ৩০০, ৫০০ কিংবা ১০০০, ২৫০০ টাকা নেয়। এভাবে টাকা নেওয়া কি বৈধ?
প্রশ্ন (২/৪২) : খালা কি মায়ের স্থলাভিষিক্ত? খালার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার মর্যাদা ও গুরুত্ব জানতে চাই। - -রাফীয়া তাসনীম, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১০/৯০) : যে ব্যক্তি (কারও) প্রেমে পড়ে, অতঃপর তা (নিজের অন্তরে) গোপন রাখে এবং কোনরূপ পাপে লিপ্ত না হয়ে পবিত্রতা অবলম্বন করে। তারপর (এই অবস্থায়) সে মারা যায়, তাহ’লে তা শহীদী মৃত্যু হিসাবে গণ্য হবে (জামে‘ ছগীর হা/৮৮৫৩)- মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : আমি বিবাহের সময় মোহরানা দিতে পারিনি। কয়েক বছর পর আমার স্ত্রীর জন্য একটি স্বর্ণের গহনা তৈরী করে তাকে দেই। কিন্তু দেওয়ার সময় মোহরানা হিসাবে দেওয়ার নিয়ত ছিল না। পরে তাকে বলি এটি তোমার মোহরানা একটি অংশ। এক্ষণে নিয়ত পরিবর্তন করে মোহরানা পরিশোধ করা যাবে কী? - -মুহাম্মাদ হোসাইন চৌধুরীরূহুল্লাহ চৌধুরীবাড়ী, কর্নেলহাট, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : পিতা-মাতা আমার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। আমাকে সংসার থেকে আলাদা করে দিয়েছেন। বড় ভাই ও ভাবীকে নিয়েই তারা ব্যস্ত। আমার স্ত্রী গরীব ঘরের সন্তান হওয়ায় তার সাথে মন্দ আচরণ করেন। টাকা-পয়সা সব বড় ভাইকে দিতে চান। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
আরও
আরও
.