উত্তর : দ্বীন বলতে তাওহীদ এবং শরী‘আত বলতে বিভিন্ন নবীর জন্য নাযিলকৃত বিধিবিধান সমূহকে বুঝায়। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আমরা পৃথক পৃথক বিধান ও পন্থা নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে তিনি এক দলভুক্ত করে দিতেন। কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে যে বিধানসমূহ দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নিতে। অতএব তোমরা আল্লাহর আনুগত্যের কর্মসমূহে প্রতিযোগিতা কর। (মনে রেখ) আল্লাহর নিকটেই তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন স্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন যেসব বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে’ (মায়েদাহ ৫/৪৮)

হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, নবীদের শরী‘আত ভিন্ন ভিন্ন ছিল। তাওরাতে এক রকম, ইঞ্জীলে আরেক রকম, আবার কুরআনে অন্য রকমের শরী‘আত। আল্লাহ বিভিন্ন শরী‘আতে তাদের জন্য যা ইচ্ছা হালাল করেছেন এবং যা ইচ্ছা হারাম করেছিলেন (তাফসীরে ইবনু কাছীর ৩/১১৭)। যেমন মূসা (আঃ)-এর শরী‘আতে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করা হ’ত। মুহাম্মদ (ছাঃ)-এর শরী‘আতে কা‘বাগৃহের দিকে ফিরে ছালাত আদায় করতে বলা হয়েছে। মূসা (আঃ)-এর শরী‘আতে বিবাহিত-অবিবাহিত সব ধরনের ব্যভিচারের শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। কিন্তু মুহাম্মাদী শরী‘আতে অবিবাহিতদের শাস্তি কমিয়ে একশ’ দোর্রা করা হয়েছে। তাছাড়া কুরবানীর বিধানেও ভিন্নতা ছিল। শরী‘আতের এই ভিন্নতাকে বিদ্বানগণ তুলনা করেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে। কেননা একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে একই রোগের চিকিৎসা বিভিন্নভাবে করে থাকেন। এটা তাঁর জ্ঞান ও প্রজ্ঞারই নিদর্শন। মহান আল্লাহর বিভিন্ন যুগের বান্দাদের অবস্থা বিবেচনা করে তাদের ইবাদতের পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন’ (শাহ অলিউল্লাহ, হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা ১/১৪৯-৫০)। বিগত নবীগণ ছিলেন স্ব স্ব গোত্রের নবী। কিন্তু শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) এসেছিলেন বিশ্বনবী হিসাবে’ (আ‘রাফ ৭/১৫৮; সাবা ৩৪/২৮)। তিনি এসেছিলেন পূর্ণাঙ্গ শরী‘আত নিয়ে (মায়েদাহ ৫/৩)। যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তনীয় থাকবে (আন‘আম ৬/১১৫)

অপরদিকে দ্বীন অর্থ তাওহীদ। যেমন- আল্লাহ বলেন, ‘তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সে পথই নির্ধারণ করেছেন, যার আদেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে এবং যা আমরা প্রত্যাদেশ করেছি তোমার প্রতি ও যার আদেশ আমরা দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর ও এতে মতভেদ করোনা। তুমি মুশরিকদের যে বিষয়ের দিকে আহবান কর, তা তাদের নিকট ভারী মনে হয়। আল্ল­াহ যাকে চান মনোনীত করেন এবং যে তঁার অভিমুখী হয়, তাকে সুপথ প্রদর্শন করেন’ (শূরা-মাক্কী ৪২/১৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নবীগণ পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই। তাদের মা ভিন্ন; কিন্তু দ্বীন একই (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৫৭২২)। এখানে ‘দ্বীন’ বলতে তাওহীদ বুঝানো হয়েছে, যা নিয়ে সকল নবী প্রেরিত হয়েছিলেন। যা ছিল সকল ইলাহী কিতাবের মূল বিষয়বস্ত্ত এবং যা ছিল মুশরিকদের উপর সবচেয়ে ভারী।

প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ মুনীর, মিরপুর, ঢাকা।








বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (১১/২৫১) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জীবিত নবী হওয়ার প্রমাণ এই যে, তাঁর কোন জানাযা হয়নি। একথার কোন সত্যতা আছে কি? - মাসঊদ রাণা, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৮/২৮৮) : ইমাম রুকূতে যাওয়া অবস্থায় জামা‘আতে শরীক হ’লে সূরা ফাতিহা পড়ে শরীক হ’তে হবে, না ইমাম যে অবস্থায় আছেন সে অবস্থায় শরীক হ’তে হবে?
প্রশ্ন (৩/৪৩) : পিতার অবর্তমানে বড় ভাই পিতার সমতুল্য। এ মর্মে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়েছে কি? - -আবু আমাতুল্লাহমঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
প্রশ্ন (২৬/১০৬) : কেউ নবজাতক সন্তানের সুসংবাদ দিলে কী বলে দো‘আ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৮/১৯৮) : হাক্কুল ইবাদ তথা যেসব পাপ করলে মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয়, এরূপ কাজ সম্পর্কে দলীলসহ জানতে চাই।
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : বাল্য অবস্থায় যারা মারা যায় তারা জান্নাতে যাবে, না জাহান্নামে যাবে?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ইহরাম অবস্থায় শাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে কি? - -আবুল কালামমাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩১/১১১) : কুরবানীর পশু যিলহজ্জ মাসের আগে ক্রয় করা যাবে কি? কতদিন পূর্বে কুরবানী্ক্রয় করতে হবে এমন কোন সময়সীমা আছে কি?
প্রশ্ন (৪/২৪৪) : একদল আলেম বলেন, কুরআন নাযিল হয়েছে শবেবরাতে। আরেক দল বলেন, শবে ক্বদরে। কোনটি ঠিক?
প্রশ্ন (২৫/৩৮৫) : দ্বিতল বিশিষ্ট মসজিদে উপরের তলায় মেয়েরা পুরুষদের থেকে এক কাতার সামনে কাতার হয়ে দাঁড়াতে পারবে কি? - -হাজী আব্দুস সাত্তার, দারুশা, পবা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২০/২৬০) : আমার পিতা-মাতা নানাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছেন। নানা বিয়েটা পরে মেনে নিয়েছিল। তাদের নতুন করে আর বিয়ে দেননি। এখন তাদের বিয়েটা কি বাতিল? আমরা সন্তানরা কি অবৈধ। আমি একজন মুসলিম মেয়ে, আমি অবৈধ হ’লে আমার বিয়ের অলী কে হবে? আমার মা কি অলী হ’তে পারবে? এক বছর পূর্বে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে আমার অলী ছিল আমার পিতা। এখন আমার বিয়েটাও কি বাতিল? এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : জনৈক বক্তা বলেন, ‘মাক্কী সূরায় মুসলমানদেরকে ‘হে ঈমানদারগণ’ বলা হয়নি। কিন্তু মাদানী সূরায় বলা হয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যতীত পূর্ণ ঈমানদার হওয়া সম্ভব নয়’। একথা গ্রহণযোগ্য কি?
আরও
আরও
.