উত্তরঃ
জানাযা ব্যতীত অন্য যা কিছু করা হবে, তা বিদ‘আত হিসাবে গণ্য হবে। জাহেলী
যুগে মৃতের জন্য শোক প্রকাশ ও বেশী করে কান্নাকাটির জন্য ভাড়াটিয়া লোক
পাওয়া যেত। যে মৃতের জন্য যতবেশী লোক কাঁদতো, সে মৃত ব্যক্তি তত বেশী
সম্মানিত বলে গণ্য হ’ত। ইসলাম এসে এগুলি নিষিদ্ধ করে এবং বলা হয় যে, মৃতের
জন্য পরিবারের কান্নাকাটির জন্য মৃতের কবরে আযাব হবে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৭৪১)
যদি সে মৃত্যুর আগে এ থেকে নিষেধ না করে যায়। অতএব মুসলিম মুক্তিযোদ্ধাদের
উচিত হবে মৃত্যুর পূর্বে এ বিষয়ে অছিয়ত করে যাওয়া যেন তার মৃত্যুর পরে
জানাযা ব্যতীত অন্য কোন আনুষ্ঠানিকতা না করা হয়। নইলে উপরোক্ত হাদীছের
আলোকে তার কবরে আযাব হ’তে পারে।