উত্তর :
ইসমে আ‘যম নির্ধারণে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে যথেষ্ট মতপার্থক্য রয়েছে। ইবনু
হাজার আসক্বালানী (রহঃ) এরূপ মোট ১৪টি মতামত উল্লেখ করেছেন। যেমন- ১. (هو)
হুওয়া, ২. আল্লাহ, ৩. আল্লাহুর রহমানুর রাহীম, ৪. আর-রহমানুর রাহীমুল
হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, ৫. আল-হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, ৬. আল হান্নানুল মান্নানু বাদী‘উস
সামাওয়াতি ওয়াল আরযি যুল জালালি ওয়াল ইকরাম, আল-হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, ৭.
বাদী‘উস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি যুল জালা-লি ওয়াল ইকরাম, ৮. যুল জালা-লি ওয়াল
ইকরাম, ৯. আল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ
ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ, ১০. রাববী রাববী, ১১. লা
ইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নী কুন্তু মিনায যোয়ালেমীন, ১২.
হুওয়াল্লাহুল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুয়া রাবিবল আরশিল ‘আযীম, ১৩. লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহ, ১৪. ইসমে আযম আসমাউল হুসনার মধ্যে কোন একটি যা লুক্কায়িত
রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে কোনটি ছহীহ, কোনটি যঈফ, কোনটি মওকূফ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। ইবনু হাজার, শাওকানী ও আলবানী (রহঃ)-এর মতে সনদ ও মতনের দিক থেকে উল্লেখিত ৯ম তথা বুরায়দাহ বর্ণিত হাদীছটি সর্বাধিক বিশুদ্ধ (ফাৎহুল বারী ১১/২২৪-২২৫; তোহফাতুয যাকেরীন পৃঃ ৫২; যঈফাহ হা/২১২৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। তবে অধিকাংশ বিদ্বানের মতে, শব্দ ও অর্থগতভাবে ‘আল্লাহ’ শব্দটিই ইসমে আযম। এটি পবিত্র কুরআনে সর্বোচ্চ ২৬৯৭ বার এসেছে। এর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নাম হ’ল ‘আল-হাইয়ুল কাইয়ূম’ (মাদারিজুস সালিকীন ১/৩২; মুগনিউল মুহতাজ ১/৮৮, ৮৯; উছায়মীন, মাজমু ফাতাওয়া ১/১৬০)।