উত্তর :
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কুরআনের আয়াত সমূহে কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেননি এবং
কারো পক্ষে তা করাও সম্ভব নয়। আল্লাহ বলেন, ‘আমরাই কুরআন নাযিল করেছি এবং
আমরাই এর হেফাযতকারী’ (হিজর ১৫/ ৯)। প্রকৃতপক্ষে খলীফা আব্দুল
মালেক ইবনু মারওয়ানের নির্দেশে তিনি বিখ্যাত তাবেঈ ও আরবী ব্যাকরণবিদ আবুল
আসওয়াদ আদ-দুআলী (৬০৩-৬৮৮ খ্রীঃ)-এর দুই ছাত্র নাছর বিন আছেম লায়ছী এবং
ইয়াহইয়া বিন ইয়া‘মার ‘আদওয়ানীকে কুরআনে হরকত দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।
যাতে অনারব মুসলিমদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত সহজ হয়। এভাবে এই দুই ছাত্রের
মাধ্যমেই এই মহান কাজটি সুসম্পন্ন হয় (যুরক্বানী, মানাহিলুল ইরফান ১/৪০৬-৪০৭)।
হরকত ছাড়া কুরআন পড়তে অপারগ অনারবদের জন্যই এরূপ করা হয়েছিল মাত্র। এছাড়া
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কুরআনের মোট ১১টি বর্ণে পরিবর্তন এনেছিলেন মর্মে যে
বর্ণনাটির প্রসিদ্ধি রয়েছে (আবুদাঊদ সিজিস্তানী, আল-মাছাহেফ ১৫৭ পৃঃ), তা মওযূ‘ বা জাল। কারণ এর বর্ণনা সূত্রে আববান বিন ছুহায়েব নামে একজন রাবী রয়েছেন, যিনি মাতরূক বা পরিত্যক্ত (সিলসিলা যঈফাহ হা/৬১৯৯-এর আলোচনা দ্রঃ)।
বস্ত্ততঃ কুরআনের আয়াত হওয়ার জন্য হরকত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। বাধ্যতামূলক হচ্ছে নির্ভুলভাবে পাঠ করা। তাই অনারবদের জন্য এর পাঠ সহজ করার জন্যই হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এ কাজটি করিয়েছিলেন মাত্র। তিনি এতে কোনরূপ কমবেশী করেননি।