উত্তর : আয়াতটির অর্থ : ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মাল খরিদ করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে। অতঃপর তারা হত্যা করে অথবা নিহত হয়। এর বিনিময়ে তাদের জন্য (জান্নাত লাভের) সত্য ওয়াদা করা হয়েছে তওরাত, ইনজীল ও কুরআনে। আর আল্লাহর চাইতে নিজের অঙ্গীকার অধিক পূরণকারী আর কে আছে? অতএব তোমরা এই ক্রয়-বিক্রয়ের বিনিময়ে (জান্নাতের) সুসংবাদ গ্রহণ কর যা তোমরা তাঁর সাথে করেছ। আর এটাই হ’ল মহা সফলতা’ (তওবাহ ৯/১১১)। উপরোক্ত আয়াতে ১৩ নববী বর্ষে হজ্জের মওসুমে (১২ই যিলহাজ্জ) মক্কায় অনুষ্ঠিত বায়‘আতে কুবরার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। উক্ত বায়‘আতে ইয়াছরিব থেকে আগত ৭৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী শরীক ছিলেন। বায়‘আতের পূর্বে হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহাহ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আপনার প্রভুর জন্য ও আপনার নিজের জন্য শর্ত পেশ করুন। তখন তিনি বললেন, আমি আমার প্রতিপালকের জন্য এই শর্ত পেশ করছি যে, তোমরা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। আর আমার নিজের জন্য শর্ত করছি যে, তোমরা আমাকে হেফাযত করবে ঐসব বস্ত্ত থেকে যেসব থেকে তোমরা নিজেদের জান ও মাল হেফাযত করে থাক’। তারা বলল, এতে আমাদের কি লাভ যদি আমরা এগুলো করি? জবাবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘জান্নাত’। তখন তারা বলল, ‘ব্যবসায়িক লাভের এই চুক্তি আমরা ভঙ্গ করব না এবং ভঙ্গ করার আবেদনও করব না’। তখন অত্র আয়াতটি নাযিল হয় (ইবনু জারীর হা/১৭২৭০; কুরতুবী হা/৩৪৯৪; ফাতহুল বারী ৬/৪; ইবনু কাছীর ৪/২১৮, সনদ হাসান লিগাইরিহী)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, তারা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কোন কথার উপরে আপনার নিকটে বায়‘আত করব? তিনি বললেন, (১) সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আমার কথা শুনবে ও তা মেনে চলবে (২) কষ্টে ও সচ্ছলতায় (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ করবে (৩) সর্বদা ন্যায়ের আদেশ দিবে ও অন্যায় থেকে নিষেধ করবে (৪) আল্লাহর জন্য কথা বলবে এভাবে যে, আল্লাহর পথে কোন নিন্দুকের নিন্দাবাদকে পরোয়া করবে না (৫) যখন আমি ইয়াছরিবে তোমাদের কাছে হিজরত করে যাব, তখন তোমরা আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে তোমরা নিজেদের ও নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের হেফাযত করে থাক, সেভাবে আমাকে হেফাযত করবে। বিনিময়ে তোমরা ‘জান্নাত’ লাভ করবে’ (আহমাদ হা/১৪৪৯৬; ছহীহাহ হা/৬৩; সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ২১২-২১৬ পৃঃ)

অপরদিকে প্রকৃত পক্ষে যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে শাহাদাত বরণ করবে বা কাফেরদের হত্যা করে বিজয় লাভ করবে বা দু’টিই লাভ করবে তাদের পুরস্কারের কথা বলা হয়েছে (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর)

স্মর্তব্য যে, বর্তমানে বিশ্বময় জিহাদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ না করেই চটকদার কথা বলে যারা জিহাদের নামে জঙ্গীবাদী কার্যকলাপ করে যাচ্ছে, তারা ইসলামের শত্রু এবং খারেজী চরমপন্থীদের দলভুক্ত। যাদের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বহুপূর্বেই মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করে গিয়েছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৯৪; বিস্তারিত দ্রঃ ‘জিহাদ ও ক্বিতাল’ বই)






প্রশ্ন (১০/২১০) : আমরা জানি পবিত্র কুরআনের আয়াত সংখ্যা ৬,৬৬৬টি। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত কুরআন মজীদের আয়াত সংখ্যা ৬,২৩৬টি। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (৪/৪০৪): জনৈক ব্যক্তি সূরা ক্বদর পাঠের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেন। অতঃপর বলেন, যে ব্যক্তি ওযূ করার পর তা তিন বার পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন সে নবীগণের সাথে পুনরুত্থিত হবে। এটা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৯/৪৭৯) : আমার স্ত্রী পালিত সন্তান। তাকে ও আমাকে এখনো পর্যন্ত আসল পিতা-মাতা সম্পর্কে জানানো হয়নি। এনিয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার মত অবস্থা হয়েছে। আমার মধ্যে কখনোই কিছু চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : বাংলাদেশ খেলায় জিততে পারবে না অথবা তুমি পরীক্ষায় পাশ করতে পারবে না। এ ধরনের কথা কি শিরকের আওতায় পড়ে?
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : রাসূল (ছাঃ) কৃত ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী ৩০ জন ভন্ডনবীর মধ্যে এ পর্যন্ত কতজনের আবির্ভাব ঘটেছে? এটা কি ত্রিশ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ?
প্রশ্ন (১৮/১৭৮) : জনৈক বক্তা বলেন, ওযর ব্যতীত হজ্জ থেকে বিরত থাকা ব্যক্তি ইহূদী বা খ্রিষ্টান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে। একথা কোন সত্যতা আছে কি? - -সাইফুদ্দীন, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৮/৩৬৮) : দ্বীনী দাওয়াত আদান-প্রদানের জন্য একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ করেছি। যেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আছে। ফলে বিভিন্ন প্রশ্ন বা অজানা বিষয়ের উত্তর দিতে গিয়ে মেয়েদের সাথেও চ্যাট করতে হয়। এতে গুনাহ হবে কি?
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি লাঠি হাতে নিয়ে খুৎবা দিতেন?
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : পবিত্র কুরআনে কি কবর আযাবের কথা আছে?
প্রশ্ন (১৮/২৯৮) : মসজিদে নববীতে একাধারে ৪০ ওয়াক্ত ছালাত আদায়কারী জাহান্নামের আগুন ও মুনাফিকের আলামত থেকে মুক্তি পাবে মর্মে কোন বিধান আছে কি?
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করে জনৈক ছেলে কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ করে। কোন টাকা প্রদান না করেই নির্ধারিত পাঁচ লক্ষ টাকা মোহরানার মধ্যে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা মোহর উল্লেখ করে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে। ছেলে দ্বীন-ধর্ম পালন করে না। পরবর্তীতে আমি পিতা হিসাবে সামাজিক কারণে বিবাহ মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মেয়ে তার সাথে সংসার করতে চায় না। আমার মেয়ে ক্বাযী অফিসের মাধ্যমে ‘খোলা’ প্রেরণ করেছে এবং ছেলে সেই কপি হাতেও পেয়েছে। কিন্তু সে বারবার বলে পাঠাচ্ছে এই তালাক হবে না। প্রশ্ন হ’ল এই ‘খোলা’ কার্যকর হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৮/৪০৮) : কবরস্থানে জুতা পরিধান করে প্রবেশ করা যাবে কি? কবরে জুতার স্পর্শ লাগলে গোনাহ হবে কি?
আরও
আরও
.