উত্তর : উক্ত চিকিৎসা মনগড়া ও শরী‘আত পরিপন্থী। তাই বালিশের নীচে কুরআনের আয়াতের নকশা রাখা যাবে না। বরং ভয় থেকে বাঁচার জন্য সুন্নাতসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়।... কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে সে যেন আ‘ঊযুবিল্লাহি... রজীম পাঠ করে এবং বাম দিকে তিনবার থুক মারে। আর কারু কাছে যেন সেটা প্রকাশ না করে। এতে তার কোন ক্ষতি হবে না’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬১২)। ছহীহ মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, বাম দিকে ৩ বার থুক মারবে, ৩ বার আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রজীম বলবে ও পার্শ্ব পরিবর্তন করবে’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬১৩-১৪ ‘স্বপ্ন’ অধ্যায়)। অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যদি ঘুমের মধ্যে ভীত হয়, তবে সে যেন পাঠ করে- ‘আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন গাযাবিহী ও ইক্বাবিহী ওয়া শার্রি ইবাদিহী ওয়ামিন হামাঝাতিশ শায়াত্বীনি ওয়া আইঁ ইয়াহযুরূন। অর্থাৎ আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর পরিপূর্ণ কালেমা সমূহের মাধ্যমে তাঁর ক্রোধ ও শাস্তি হ’তে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট হ’তে এবং শয়তানের খটকা সমূহ হ’তে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হ’তে না পারে। কেননা সে তাকে ক্ষতি করতে পারবে না’ (তিরমিযী হা/৩৫২৮; আবুদাঊদ হা/৩৮৯৩; মিশকাত হা/২৪৭৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৬০১)।