উত্তর
: উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলেন, আহলে কিতাবগণের মধ্যে একদল রয়েছে, যারা আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং যা তোমাদের প্রতি ও তাদের প্রতি নাযিল
হয়েছে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে আল্লাহর প্রতি অনুগত হয়ে এবং যারা
আল্লাহর আয়াত সমূহ স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করেনি, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে
তাদের প্রতিপালকের নিকটে। নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী’ (আলে ইমরান ১৯৯)।
একই মর্মের বক্তব্য এসেছে সূরা বাক্বারাহ ১২১, আলে ইমরান ১১৩, মায়েদাহ
৮২-৮৫, আ‘রাফ ১৫৯, ইসরা ১০৭, ক্বাছাছ ৫২-৫৪ আয়াত সমূহে। এসব আয়াতের মর্ম এই
যে, ইহুদী হৌক বা নাছারা হৌক যারা শেষ কিতাব ও শেষনবীর উপরে ঈমান এনেছে
এবং তাদের নিজেদের কিতাবে বিকৃতি ঘটায়নি ও সেখানে বর্ণিত শেষনবীর আগমন ও
তাঁর পরিচয় ও গুণাবলী গোপন করেনি, তারা হ’ল আহলে কিতাবের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি
এবং তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। যেমন ইহুদী ধর্মনেতা আব্দুল্লাহ বিন
সালাম ও খ্রিষ্টান বাদশাহ নাজাশী প্রমুখ।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন হাবশার বাদশা আছহামা নাজাশীর মুত্যুর কথা জানতে পারলেন, তখন তিনি ছাহাবীদেরকে নিয়ে গায়েবানা জানাযা পড়লেন। মুনাফিকরা বলল, আমরা একজন অমুসলিম হাবশীর জন্য জানাযা পড়ব? তখন উক্ত আয়াত নাযিল হয় (নাসাঈ, সুনানুল কুবরা হা/১১০৮৮; সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩০৪৪; ইবনু কাছীর, তাফসীর, ঐ)।