উত্তর :
পবিত্র কুরআন মুখস্থকারী হাফেযগণ পরকালে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন।
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনের হাফেযকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক
এবং জান্নাতের উপরের দিকে আরোহন করতে থাক। অক্ষর ও শব্দ স্পষ্ট করে
তেলাওয়াত করতে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে তেলাওয়াত করতে। তোমার তেলাওয়াতের
সর্বশেষ স্তর হবে তোমার বসবাসের সর্বোচ্চ স্থান’ (আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাঊদ, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২১৩৪)।
অনেকে বলেন, এই মর্যাদা সকল কুরআন পাঠকারীর জন্য। আসলে তা সঠিক নয়। শায়খ আলবানী বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল কুরআনের হাফেয। এই মর্যাদার স্তর হ’ল- জান্নাতের স্তর। কুরআন তেলাওয়াতকারী সাধারণের জন্য এই মর্যাদা নয় যেমন কেউ কেউ ধারণা করেন। বরং এর মধ্যে কুরআনের হাফেযের জন্য স্পষ্ট মর্যাদা রয়েছে, যে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হেফয করে (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৪০-এর আলোচনা দ্রঃ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে দুই শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর পরিবার হবেন। একজন হ’লেন কুরআনের অধিকারী ও অন্যজন হ’লেন তার খাছ বন্ধুবর্গ’ (ইবনু মাজাহ হা/২১৫, সনদ ছহীহ)।