উত্তর : মুসলিম বা অমুসলিম কারো সম্পদ আত্মসাৎ করা যাবে না। মুগীরা (রাঃ) অন্ধকার যুগে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথী হিসাবে নেন, পরে তিনি তাদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ নিয়ে নেন। অতঃপর তিনি নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তখন নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমি তো তোমার ইসলাম গ্রহণকে কবুল করলাম, কিন্তু ধন-সম্পদ যা ধোঁকাবাজির দ্বারা অর্জন করেছ, এতে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই (বুখারী হা/২৭৩১-৩২; আবুদাউদ হা/২৭৬৫)। অত্র হাদীছ প্রমাণ করে যে, অন্যায় কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সাবধান! তোমাদের কেউ যদি কোন যিম্মীর উপর অত্যাচার করে বা তার হক নষ্ট করে কিংবা তার সামর্থ্যের বাইরে তার উপর কিছু চাপিয়ে দেয় অথবা জোরপূর্বক তার কোন জিনিস নিয়ে নেয়, তবে আমি ক্বিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে বাদী হব’ (আবুদাউদ হা/৩০৫২; মিশকাত হা/৪০৪৭; ছহীহাহ হা/৪৪৫)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই হকদারকে তার হক আদায় করে দেয়া হবে। এমনকি শিংওয়ালা ছাগল যদি শিংবিহীন ছাগলকে গুঁতো মেরে কষ্ট দিয়ে থাকে, সেটারও বদলা নেওয়া হবে (মুসলিম হা/২৫৮২; মিশকাত হা/৫১২৮)। এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, মযলূমের হক অবশ্যই আদায় করে নেওয়া হবে (মিরক্বাত)। অতএব মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে কোন মানুষের প্রতি যুলুম করা যাবে না।
প্রশ্নকারী : রিয়াযুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।