উত্তর : একথা ঠিক নয়। বরং প্রথম রাসূল ছিলেন নূহ (আঃ)। আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতি ‘অহি’ প্রেরণ করেছি, যেমন ‘অহি’ করেছিলাম নূহের নিকট এবং তার পরবর্তী নবীগণের নিকট’ (নিসা ৪/১৬৩)। এছাড়া শাফা‘আতের হাদীছে স্পষ্টভাবে আছে যে, ক্বিয়ামতের দিন আদম (আঃ) বলবেন, তোমরা নূহ (আঃ)-এর নিকট যাও। কারণ তিনি প্রথম নবী ও রাসূল’ (বুখারী হা/৪৪৭৬; মুসলিম হা/১৯৪; মিশকাত হা/৫৫৭২)।
কুরতুবী বলেন, ইদরীস (আঃ) যে নূহ (আঃ)-এর পূর্বেকার নবী ছিলেন না, তার বড় প্রমাণ এই যে, মি‘রাজে যখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ১ম আসমানে আদম (আঃ)-এর সাক্ষাৎ হয়, তখন তিনি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, مرحبا بالابن الصالح والنبى الصالح ‘নেককার সন্তান ও নেককার নবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ’। অতঃপর ৪র্থ আসমানে হযরত ইদরীস (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ হ’লে তিনি বলেন, مرحبا بالاخ الصالح والنبى الصالح ‘নেককার ভাই ও নেককার নবীর জন্য সাদর সম্ভাষণ’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৫৮৬২ ‘মি‘রাজ’ অনুচ্ছেদ)। ক্বাযী ইয়ায বলেন, যদি ইদরীস (আঃ) নূহ (আঃ)-এর পূর্বেকার নবী হ’তেন, তাহ’লে তিনি শেষনবী (ছাঃ)-কে ‘নেককার ভাই’ না বলে ‘নেককার সন্তান’ বলে সম্ভাষণ জানাতেন। যেমন আদম, নূহ ও ইবরাহীম বলেছিলেন। তিনি বলেন, নূহ ছিলেন সকল মানুষের প্রতি প্রেরিত প্রথম রাসূল। যেমন শেষনবী ছিলেন সকল মানুষের প্রতি প্রেরিত শেষ রাসূল। আর ইদরীস (আঃ) ছিলেন স্বীয় কওমের প্রতি প্রেরিত নবী। যেমন ছিলেন হূদ, ছালেহ প্রমুখ নবী’ (কুরতুবী, সূরা আ‘রাফ ৫৯-এর ব্যাখ্যা; বিস্তারিত দ্রঃ নবীদের কাহিনী-১ ‘ইদরীস (আঃ)’ অনুচ্ছেদ)।