উত্তর
: মাইয়েতের সম্পদ দ্বারা এটা করা যাবে না। জারীর বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী
(রাঃ) বলেন, দাফনের পরে মাইয়েতের বাড়িতে সমবেত হওয়া এবং খানাপিনার আয়োজন
করাকে আমরা বিলাপ হিসাবে গণ্য করতাম (যা নিষিদ্ধ)’ (আহমাদ হা/৬৯০৫; ইবনু মাজাহ হা/১৬১২, সনদ ছহীহ)। হানাফী বিদ্বান কামাল ইবনুল হুমাম বলেন, মাইয়েতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাওয়াত করে খানাপিনার আয়োজন করা মাকরূহ... বরং জঘন্য বিদ‘আত (ফাৎহুল ক্বাদীর ২/১৪২)। এছাড়া ইমাম নববী, ইবনু তায়মিয়া, ইবনু কুদামা প্রমুখ বিদ্বান এরূপ কাজ শরী‘আতসিদ্ধ নয় বলে ফৎওয়া দিয়েছেন (রওযাতুল তালেবীন ২/১৪৫; মাজমূউল ফাতাওয়া ২৪/৩১৬; আল-মুগনী ৩/৪৯৭; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৯/১৪৫)।
বরং সুন্নাত হ’ল প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা মাইয়েতের পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবে। জাফর বিন আবু তালিব (রাঃ) মুতার যুদ্ধে শাহাদত বরণ করলে রাসূল (ছাঃ) প্রতিবেশীদের নির্দেশ দেন যাতে তারা জাফর (রাঃ)-এর পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে (আবুদাউদ হা/৩১৩২; ইবনু মাজাহ হা/১৬১০; মিশকাত হা/১৭৩৯; ছহীহুল জামে হা/১০১৫)। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, প্রতিবেশী ও নিকটতমরা মাইয়েতের পরিবারের জন্য একদিন ও এক রাতের খাবারের ব্যবস্থা করবে। এটি আমার নিকট পসন্দনীয় (কিতাবুল উম্ম ১/৩১৭)। ইবনু কুদামা বলেন, মাইয়েতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়া ও তাদের কষ্ট লাঘব করার জন্য তাদের জন্য খাবার পাঠানো প্রতিবেশীদের জন্য মুস্তাহাব (আল-মুগনী ৩/৪৯৬; বিস্তারিত দ্রঃ ‘কুরআন ও কলেমাখানী’ বই)।