
উত্তর : স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রী উচ্চতর পড়াশুনা ও চাকুরী করতে পারবে না। কারণ বিবাহের পর নারী স্বামীর আনুগত্য করবে। পিতা-মাতা ও স্বামীর মধ্যে দুনিয়াবী বিষয়ে বিরোধ দেখা দিলে স্বামীর আনুগত্য প্রাধান্য পাবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৯/১৬৫)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘বিবাহিত নারীর স্বামীই আনুগত্যের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার উপর অগ্রগণ্য। তার জন্য স্বামীর আনুগত্য করা আবশ্যক (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৬১)। অন্যত্র তিনি বলেন, পিতা-মাতা বা অন্য কেউ আদেশ দিলেও স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ব্যতীত বাইরে বের হ’তে পারবে না। এই ব্যাপারে চার ইমামের ঐক্যমত রয়েছে (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৬৩)। অতএব বিবাহের পর নারীদের জন্য স্বামীর আদেশই অগ্রগণ্য, যদি তা গোনাহের আদেশ না হয়। আর স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রী পূর্ণ পর্দা সহকারে পড়াশুনা বা চাকুরী করতে পারে, যদি পরিবেশ নিরাপদ হয় এবং পর্দা বজায় রাখার সুযোগ থাকে। এতে স্বামী দাইয়ুছ হবে না। মূলত দাইয়ূছ ঐ ব্যক্তি যে স্ত্রীর ব্যভিচারমূলক কর্মকান্ডের ব্যাপারে উদাসীন থাকে (নাসাঈ হা/২৫৬২, ছহীহাহ হা/৬৭৪)। উল্লেখ্য যে, আয়-রোযগারের দায়িত্ব নারীদের নেই। তবে প্রয়োজন, নিরাপত্তা ও পূর্ণ পর্দার পরিবেশ থাকার শর্তে নারীরা চাকুরী করতে পারে।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কুমিল্লা।