উত্তর : বাধা নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহর নিকট প্রিয় খাদ্য হ’ল যাতে অনেক হাত অংশগ্রহণ করে। অর্থাৎ যে খাদ্য অনেকে এক সাথে খায় (আবু ইয়া‘লা হা/২০৪৫; ছহীহুল জামে‘ হা/১৭১; ছহীহাহ হা/৮৯৫)। তিনি বলেন, তোমরা একত্রে খাবার গ্রহণ করো। পৃথক হয়ে খাবার গ্রহণ কর না। কারণ একজনের খাবার দু’জনের জন্য যথেষ্ট হবে আর দু’জনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট হবে (মুসলিম হা/২০৫৯; ইবনু মাজাহ হা/৩২৫৪; ছহীহাহ হা/২৬৯১)। আব্দুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা নবী করীম (ছাঃ)-এর জন্য একটি ছাগল হাদিয়া পাঠানো হ’ল। সেদিন খাদ্য অল্প ছিল। ফলে তিনি তার পরিবারকে বললেন, এই ছাগলটি রান্না কর। আর এই যে আটা এ দিয়ে রুটি তৈরী কর এবং তার উপর ছারিদ ছড়িয়ে দাও। নবী করীম (ছাঃ)-এর একটি (বড়) গামলা ছিল যাকে ‘গাররা’ বলা হ’ত। চারজন লোক সেটাকে বহন করত। যখন সকাল হ’ল এবং তারা ছালাতুয যুহা আদায় করল তখন ঐ গামলাটি আনা হ’ল, লোকেরা তার চার পাশে জমা হ’ল। যখন লোক সংখ্যা বেশী হ’ল, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাঁটু গেড়ে বসলেন। এতে এক বেদুঈন বলল, এ কোন ধরনের বসা? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে উদার ও বিনয়ী বান্দা হিসাবে পাঠিয়েছেন, অবাধ্য ও স্বেচ্ছাচারী হিসাবে পাঠাননি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমরা এই খাদ্যের পার্শ্ব থেকে খাও, মধ্যভাগ থেকে খেয়ো না। কেননা মধ্যভাগে তোমাদের জন্য বরকত দান করা হয়। তারপর বললেন, তোমরা নাও এবং খাও। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! অবশ্যই তোমাদেরকে পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যের উপর বিজয় দান করা হবে, তখন খাদ্যের পরিমাণ বেড়ে যাবে, কিন্তু সে খাদ্যের উপরে (খাওয়ার সময়) আল্লাহর নাম স্মরণ করা হবে না’ (অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বলা হবে না) (শু‘আবুল ঈমান হা/৫৪৬১; আবুদাউদ হা/৩৭৭৩; ছহীহ আত-তারগীব হা/২১২২; ছহীহাহ হা/৩৯৩)

অত্র হাদীছে রাসূল (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। পারস্য ও রোম সাম্রাজ্য বিজয়ের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদাহর সময় যা কার্যকর হয়। এর মধ্যে একথাও রয়েছে যে, অঢেল সম্পদ লাভের পর মুসলমানদের মধ্যে অনেক বিলাসী লোকের আবির্ভাব ঘটবে, যারা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম নিতে ভুলে যাবে। এর দ্বারা বিসমিল্লাহ বলার গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।






প্রশ্ন (৮/৪৪৮) : জনৈক ব্যক্তি তার জীবনের প্রথম দিকে অজ্ঞতার কারণে রামাযানের ছিয়াম পালনকালে ইচ্ছাকৃতভাবে লুকিয়ে পানাহার করেছিলেন। এখন অনেক বছর পরে এসে নিজের ভুল বুঝতে পারেন। এমতাবস্থায় তার করণীয় কি? এক্ষেত্রে ক্বাযার সাথে কাফফারাও আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর সংগৃহীত হাদীছের সংখ্যা নাকি চল্লিশ হাযার? এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৪৭৯) : আমাদের গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কারণে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেছে। এখানে সকলেই নাভির নীচে হাত বাঁধে। আমি যখন মসজিদে যাই তখন তারা আমাকে জোর করে ওদের মতো ছালাত পড়তে বাধ্য করে। এখন আমার করণীয় কি? - -জাবের আহমাদ, মেলান্দহ, জামালপুর।
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : জুম‘আর খুৎবা প্রদানের সুন্নাতী পদ্ধতিসমূহ কি কি? - -শামীম ইসলাম. ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : মোহাম্মদ বায়েজিদ খান পন্নী তার ‘দাজ্জাল! ইহুদী-খৃষ্টান সভ্যতা’ বইয়ে দাবী করেছেন যে, আধুনিক ইহুদী-খৃষ্টান যান্ত্রিক সভ্যতাই দাজ্জাল। এ বিষয়ে একটি সিডিও বাজারে ছাড়া হয়েছে। লেখকের দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : ওশর-যাকাত এগুলো টাকা দিয়ে আদায় করা শরী‘আতসম্মত হবে কি? না নির্দিষ্ট প্রাণী, শস্য বা বস্ত্তর যাকাত সেই জিনিস দিয়েই আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : সূরা নাজম-এর ৩২ নং আয়াতে اَلْلَّمَمَ বলে কোন ধরনের অপরাধকে বুঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন (৯/১২৯) : আমি প্রবাসে থাকি। দেশে থাকা পিতা-মাতা আমার পুরো উপার্জনই ভোগ করতে চান। আমার স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খরচ করতে অনীহা পোষণ করেন। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -বদরুল আলম, দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রশ্ন (২৫/২৫) : বর্তমান সমাজে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অধিকাংশ অভিভাবক মেয়েদের সর্বোচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী করার আগ পর্যন্ত বিবাহ দিতে রাযী হন না। এরূপ মেয়েরা চরিত্র রক্ষার্থে পিতা-মাতার অমতে বিবাহ করতে চাইলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) : আমাদের মসজিদের ইমাম তাবীয লিখেন, গণকের কাজ করেন এবং নতুন বাড়ি বন্ধ করার জন্য আগুন জ্বালিয়ে বাড়ির কোণায় কোণায় আযানের কতিপয় বাক্য উচ্চারণ করেন। উক্ত ইমামের পিছনে ছালাত পড়া জায়েয হবে কি? তার ব্যাপারে মসজিদ কমিটির করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকায় স্ত্রীর সাথে স্বাভাবিক সংসর্গ ব্যতীত জৈবিক চাহিদা মেটানোর ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা শরী‘আতসম্মত হবে কি? - -হাবীবুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৮) : উট, গরু, ছাগল, মহিষ, দুম্বা, ভেড়া, হাঁস-মুরগী ইত্যাদির পেশাব-পায়খানা কাপড়ে লাগলে সেই কাপড়ে ছালাত হবে কি? আলেমদের মাঝে এ নিয়ে নানা মত রয়েছে। সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.