উত্তর : স্ত্রী সর্বদা স্বামীর অনুগত থাকবে। স্বামীর বৈধ আদেশ-নিষেধ মেনে চলবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। এ জন্য যে, আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছেন। আর এ জন্য যে, তারা তাদের (ভরণ-পোষণের জন্য) অর্থ ব্যয় করে, সেমতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগত এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন, লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে’ (নিসা ৩৪)। স্বামীর অবাধ্যতার পরিণতি ভয়াবহ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির ছালাত তাদের কর্ণ পার হয় না (অর্থাৎ কবুল হয় না)। তন্মধ্যে একজন হচ্ছে ঐ মহিলা যে স্বামীর অসন্তুষ্টিতে রাত্রি যাপন করে’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১১২২)। অন্য বর্ণনায় রয়েছে ফেরেশতাগণ সকাল পর্যন্ত ঐ মহিলার উপর অভিসম্পাত করতে থাকে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৩২৪৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, যে স্ত্রী পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে, রামাযান মাসে ছিয়াম পালন করে, স্বীয় লজ্জাস্থানের হেফাযত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে’ (আবু নাঈম, মিশকাত হা/৩২৫৪ ‘নারীদের সাথে ব্যবহার’ অনুচ্ছেদ সনদ হাসান)। তবে আল্লাহর অবাধ্যতায় স্বামী, পিতা ও কারুরই কোন আনুগত্য নেই (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, শারহুস সুন্নাহ, মিশকাত হা/৩৬৬৪-৬৫, ৯৬)। এক্ষণে স্বামীর অনুমতি না পেলে চাকুরী ছেড়ে দিতে হবে। একমাত্র আল্লাহর নিকটেই সন্তান চাইতে হবে এবং সাথে সাথে কোন অভিজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। সর্বোপরি আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করতে হবে। যেকোন বয়সে আল্লাহ সন্তান দিতে পারেন। ইবরাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী সারাকে আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দিয়েছিলেন। অন্যদিকে রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) সন্তানের মুখ দেখেননি। অতএব সন্তান না হলে আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর স্বামী-স্ত্রী উভয়কে খুশী থাকতে হবে।






প্রশ্ন (৩৬/৪৭৬) : পরহেযগারিতা সহ কাংখিত সদগুণাবলী সম্পন্ন স্বামী বা স্ত্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ বা আমল আছে কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : আমার ভাই আমার নিকটে ঋণ চাইলে আমার হাতে কোন টাকা না থাকায় তার অনুরোধে আমার নামে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তাকে দেই। তিনি নিয়মিত উক্ত ঋণ পরিশোধ করেন। এতে আমি গোনাহগার হব কি?
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : সরকারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ায় আমাকে বাধ্যগত অবস্থায় কোন কোন সময় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হয়। এর বিনিময়ে আমি যে ভাতা পাই তা ভোগ করা আমার জন্য জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২/২০২) : কুরবানী, আক্বীক্বা বা সাধারণ যবহ করার সময় কি কি দো‘আ পাঠ করা সুন্নাত?
প্রশ্ন (১১/২৫১) : রাসূল (ছাঃ) নিজে কখনো দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করেছেন কি? - -আব্দুল আলীম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (২/১৬২): জনৈক আলেম বলেন, খাদীজা (রাঃ)-এর দাফনের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অশ্রু ফোঁটায় তাঁর কবর সিক্ত হলে আল্লাহ মুনকার-নাকীর কে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সওয়াল-জওয়াব করতে নিষেধ করে দেন। এ বিবরণ কি সত্য?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : এশার ছালাতের পর ৪ রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করলে ক্বদরের ছালাতের ন্যায় ছওয়াব পাওয়া যায় কি?
প্রশ্ন (৪/৪) : ক্বিয়ামতের দিন মানুষের আত্মার সাথে দেহ জুড়ে দেওয়া হবে, না কি দেহ ছাড়া কেবল আত্মা পুনর্জীবিত হবে? - -যাকারিয়া খন্দকার, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৪/১৬৪) : জানাযার ছালাত না পড়ে থাকলে কেবলমাত্র কবরে মাটি দেওয়ার জন্য ওযূ করা যরূরী কি? - -ইলিয়াস, বহরমপুর, ভারত।
প্রশ্ন (৪/২৮৪) : মানুষের নামের শেষে বা শুরুতে জাহান শব্দ ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৪২৯) : আমাদের মসজিদে মহিলাদের ছালাতে ব্যবস্থা রয়েছে মসজিদের উত্তর পাশে। ফলে পুরুষের দ্বিতীয় কাতার বরাবর মহিলাদের কাতার হয়। এতে ছালাতে কোন বাধা আছে কি? - -আব্দুল বাসেতনিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১০/১০) : নতুন বাড়ী উদ্বোধনকালে বিশেষ কোন দো‘আ আছে কি? এসময় আলেম-ওলামা বা আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে দো‘আর অনুষ্ঠান বা ভোজসভা করা যাবে কি? - -মুখলেছুর রহমান, সাপাহার, নওগাঁ।
আরও
আরও
.