উত্তর :
উক্ত ফৎওয়া সঠিক নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ), আবুবকর (রাঃ) এবং ওমর (রাঃ) মিনাতে
ছালাত ক্বছর করে করতেন। মক্কার স্থানীয় ব্যক্তিরাও তাঁদের সাথে ক্বছর
করতেন। তবে ওছমান (রাঃ) তাঁর খেলাফতের প্রথমদিকে ক্বছর করতেন এবং পরবর্তীতে
পুরা পড়তেন (বুখারী হা/১০৮২; মুসলিম হা/১৬২৪; মিশকাত হা/১৩৪৭ ‘সফরের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)।
এটি ছিল ওছমান (রাঃ)-এর ব্যক্তিগত আমল। আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন, তোমাদের
মাঝে যদি কোন বিষয়ে মতানৈক্য হয়, তাহলে তোমরা ফিরে যাও আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের দিকে (নিসা ৫৯)। আবদুর রহমান বিন ইয়াযীদ বলেন, আমি যখন
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)-কে ওছমান (রাঃ)-এর পুরো ছালাত পড়ার বিষয়ে
জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি বললেন, আমার জন্য দুই রাক‘আত আল্লাহ্র দরবারে কবুল
হওয়া চার রাক‘আতের চাইতে বেশি পসন্দনীয় (ক্বাযী আয়ায, ইকমালুল মু‘আল্লিম শরহ ছহীহ মুসলিম ৩/১২)।
উল্লেখ্য, রাসূল (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের সফরে মক্কায় দুই রাক‘আত ছালাত পড়ার পর বললেন, (يا أهل البلد، صلوا اربعا، فإنا سَفْرٌ) ‘হে নগরবাসীগণ! তোমরা চার রাক‘আত পড়। কারণ আমরা মুসাফির’ (আবুদাঊদ হা/১২২৯; মিশকাত হা/১৩৪২) বর্ণনাটি ‘যঈফ’। এর সনদে আলী বিন যায়েদ বিন জুদ‘আন নামে একজন যঈফ রাবী আছেন (ফাৎহুল বারী ৪/৪৭; সিয়ার নুবালা, ক্রমিক ৮২, ৫/২০৬)। বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরাফা ময়দানে অবস্থানকালে এক আযানে ও দুই ইক্বামতে যোহর ও আছর জমা তাক্বদীম করেন। মুক্বীম-মুসাফির সকলে তাঁর সাথে একইভাবে ছালাত আদায় করেন (বুখারী, মিশকাত হা/২৬১৭ ‘হজ্জ’ অধ্যায়; আবুদাঊদ হা/১৯১৩)। মুযদালেফাতেও মাগরিব ও এশা জমা তাখীর করেছিলেন। আগে-পিছে কোন সুন্নাত পড়েননি (বুখারী, মিশকাত হা/২৬০৭; মুসলিম হা/১২৮৮)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, এটি ফক্বীহ বিদ্বানগণের মধ্যে ইজমা-এর ন্যায়’ (আলবানী, মানাসিকুল হজ্জ ওয়াল ওমরাহ পৃঃ ২৯ টীকা-৬৪)।