উত্তর : বাগদাদের আববাসীয় খলীফা মুত্বী‘ বিন মুক্বতাদিরের শাসনামলে (৩৩৪-৩৬৩ হি./৯৪৬-৯৭৪ খৃ.) তাঁর শক্তিশালী শী‘আ আমীর আহমাদ বিন বূইয়া দায়লামী ওরফে মু‘ইযযুদ্দৌলা হযরত হুসায়েন (রাঃ)-এর শাহাদত বার্ষিকী স্মরণে ৩৫২ হিজরীর ১০ই মুহাররমকে ‘শোক দিবস’ ঘোষণা করেন এবং সকল দোকান-পাট, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত বন্ধ করে দেন। তিনি মহিলাদের শোকে চুল ছিঁড়তে, চেহারা কালো করতে, রাস্তায় নেমে শোকগাথা গেয়ে চলতে বাধ্য করেন। শহরে ও গ্রামে সর্বত্র সকলকে শোক মিছিলে যোগদান করতে নির্দেশ দেন। শী‘আরা খুশী মনে এই নির্দেশ পালন করে। কিন্তু সুন্নীরা চুপ হয়ে যান। পরে সুন্নীদের উপরে এই ফরমান জারী হ’লে ৩৫৩ হিজরীতে উভয় দলে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ফলে বাগদাদে তীব্র নাগরিক অসন্তোষ ও সামাজিক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়ে (আশূরায়ে মুহাররম পৃ. ১৬-১৭)

আর তা‘যিয়া হ’ল আরবী তা‘যিয়া (التَّعْزِيَةُ) শব্দের প্রতিরূপ। এর অর্থ মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা যে কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেওয়া ও তার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা। কিন্তু ৬১ হিজরীতে হোসায়েন (রাঃ) কারবালায় শহীদ হওয়ার পর থেকে ৩৫২ হিজরী পর্যন্ত মুসলিম বিশ্বের কোথাও এদিনটিকে শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়নি। সুতরাং এই দিনে শোক পালন করা একটি নবাবিষ্কৃত রীতি। তাছাড়া মৃত ব্যক্তির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তিনদিন শোক প্রকাশ করা যায়; এর বেশী নয় (বুখারী হা/১২৮০; মুসলিম হা/১৪৮৬)। এর সাথে যোগ হয়েছে তা‘যিয়া মিছিলের বিদ‘আতী অনুষ্ঠান, যা কিনা স্বয়ং শী‘আদের আঁতুড়ভূমি ইরানেও প্রচলিত নয়। এই রেওয়াজ কেবল ভারত উপমহাদেশে দেখা যায়। মোগল বাদশাহ আকবরের সময় আগ্রা দূর্গ থেকে তা‘যিয়া মিছিল বের হ’ত। এতে অন্যান্য রেওয়াজের সাথে শোকের চিহ্ন হিসাবে হুসায়েন (রাঃ)-এর সমাধির প্রতিকৃতি বহন করা হয় এবং মিছিল শেষে সেই প্রতিকৃতি হিন্দুয়ানী প্রথার অনুকরণে নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়। সুন্নী মুসলমানরা এমনকি অনেক সময় হিন্দুরাও এতে অংশগ্রহণ করে থাকে। শোকের চেয়ে এতে উৎসবই প্রাধান্য পায়। বাংলাদেশে মোগল সুবেদার শাহ সুজা (১৬৩৯-১৬৫৯খ্রি.)-এর আমলে শী‘আদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। সম্ভবত তখন থেকেই এদেশে তা‘যিয়া মিছিলের প্রচলন হয় (বাংলাপিডিয়া)। এ অঞ্চলের পরবর্তী শাসক ও নবাবেরাও শী‘আ  ছিলেন।  ফলে  এদেশের  মুসলমানদের জীবনাচরণে শী‘আ প্রভাব বৃদ্ধি পায়। বস্ত্ততঃ শোক দিবস পালন কিংবা তা‘যিয়া মিছিল অনুষ্ঠানের কোন ভিত্তি ইসলামে নেই, যা সম্পূর্ণরূপে একটি বিদ‘আতী প্রথা। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।

প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান,  নওদাপাড়া, রাজশাহী।







প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : গাছের প্রথম ফল বরকতের আশায় মসজিদে বা গরীব-মিসকীনকে দান করা অথবা কোন আলেম ব্যক্তিকে খাওয়ানো যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৪৩৭) : এশার ছালাতের পূর্বে নির্দিষ্টভাবে চার রাক‘আত সুন্নাত ছালাত আদায় করার বিধান রয়েছে কি?
প্রশ্ন (১০/১০) : বাঁশের বাঁশি বাজানো বা শোনা শরী‘আত সম্মত কি?
প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : ইমাম মাহদী (আঃ)-এর আগমনের পূর্বে জুলফি নক্ষত্রের উদয় সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সেটা ছহীহ কি না? - -আয়েন আহমাদ, মোড়াগাছা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : রাতে ঘুমানোর সময় ওযূ করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (১৯/৫৯) : শীতকালে রাতে ঘর গরম করার জন্য আগুন জ্বালিয়ে ঘুমানো কি জায়েয? - -ইউসুফ, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : মসজিদে প্রথম জামা‘আত হয়ে গেলে পরের মুছল্লীরা জামা‘আত করে ছালাত আদায় করতে পারবে কি? এই জামা‘আতের সময় এক্বামত দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৩৪৯) : জনৈক ব্যক্তির চার ভাই ও দু’বোন আছে। তিন ভাই ও দু’বোন আগেই মারা গেছে। এক্ষণে এক ভাই জীবিত আছে যার কোন সন্তান নেই। সেও মারা গেল কিছুদিন আগে। জীবিত আছে তার স্ত্রী, এক ভাইয়ের ৮ ছেলে, ১ মেয়ে; অন্য ভাইয়ের চার ছেলে ও ছয় মেয়ে এবং আরেক ভাইয়ের তিন ছেলে ও চার মেয়ে। কে কতটুকু সম্পদ পাবে?
প্রশ্ন (১৯/৯৯) : মালাকুল মউত তথা মৃত্যুর ফেরেশতা কি একজন? যদি তিনি একজন হন তবে কিভাবে একই সময়ে পুরো বিশ্বের হাযারো মানুষের জান কবয করেন?
প্রশ্ন (৭/২৮৭) : ঈদের ছালাতে কুনূতে নাযেলা পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) : আমি যে মসজিদে ই‘তিকাফ করি, সেখানে ২০ রাক‘আত তারাবীহর ছালাত আদায় করা হয়। এক্ষণে এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? - -মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহরূপসা কলেজ, খুলনা।
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : কিছু আলেমের মুখে শোনা যায় যে, আল্লাহর যিক্র পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের চেয়েও উত্তম। তারা প্রমাণে কুরআনের আয়াতও পেশ করে থাকেন। তাদের বক্তব্য কি সঠিক?
আরও
আরও
.