উত্তর : বিবাহে খরচ কম হওয়া উত্তম (আবুদাউদ হা/২১১৭)। এছাড়া যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহকে হাদীছে বরকতপূর্ণ বলা হয়েছে (আহমাদ হা/২৪৫২২; ইরওয়া হা/১৯২৮, সনদ হাসান)। অতএব বিবাহ ও মোহরানা সকল ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

তবে বর তার সাধ্যানুযায়ী ওয়ালীমা, সাজসজ্জা ইত্যাদিতে খরচ করতে পারে। কারণ শরী‘আতে এ ব্যাপারে কোন সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে অপচয় করা যাবে না এবং দরিদ্রদের দাওয়াত থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খাও ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা খাও, পান কর এবং অপচয় ও অহংকার ব্যতীত খরচ ও ছাদাক্বা কর। আল্লাহ তা‘আলা চান যে, তার নে‘মতের নিদর্শন বান্দার মধ্যে পরিলক্ষিত হৌক (হাকেম হা/৭১৮৮, সনদ হাসান)। তিনি আরো বলেন, ঐ ওয়ালীমার খাদ্য নিকৃষ্ট খাদ্য, যে আয়োজনে শুধু ধনীদের দাওয়াত করা হয় এবং গরীবদের বঞ্চিত করা হয় (বুখারী হা/৫১৭৭; মিশকাত হা/৩২১৮)। উল্লেখ্য যে, সমাজে প্রচলিত কনের বাড়ীতে অনুষ্ঠান করার আবশ্যকতা নেই। অনেক সময় বর পক্ষ থেকে অধিক সংখ্যক লোক কনের বাড়ীতে গমন করে, যা কনের পক্ষের উপর যুলুম হয়ে যায়। অতএব এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য।

উল্লেখ্য, যে বিবাহে খরচ কম সে বিবাহে অধিক বরকত লাভ করা যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী শো‘আব হা/৬১৪৬; মিশকাত হা/৩০৯৭; যঈফাহ হা/১১১৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ শেখ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।








বিষয়সমূহ: বিবাহ ও তালাক
প্রশ্ন (২৫/২৫) : বর্তমান নির্বাচনের মাধ্যমে যেভাবে নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে তা কি শরী‘আত সম্মত? একজন সর্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি আর একজন অশিক্ষিত মূর্খ ব্যক্তির ভোটের মূল্য কি সমান? জ্ঞানের কোন মূল্যায়ন নেই কি?
প্রশ্ন (১১/৯১) : জনৈক ব্যক্তির অনেক জমিজমা আছে। কিন্তু নগদ অর্থ অল্পই আছে। তার উপর হজ্জ ফরয হয়েছে কি?
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আমরা জানি, মেঘের উপরে থাকে পজিটিভ চার্জ আর নীচে থাকে নেগেটিভ চার্জ। যেহেতু বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এই পজিটিভ চার্জ ও নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে উপর থেকে নীচের দিকে চার্জের নির্গমন ঘটে। এর ফলে শক্তির নিঃসরণ ঘটে, শব্দ হয় ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। কিন্তু হাদীছে (তিরমিযী হা/৩১১৭) এই শব্দকে ফেরেশতাদের হাকডাক বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ হাকডাক দিয়েই মেঘমালাকে নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : কা‘বায় চবিবশ ঘন্টা ছালাত ও তাওয়াফ চলছে। সুতরাং ছালাতের নিষিদ্ধ সময় কি সেখানকার জন্য প্রযোজ্য নয়?
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : সন্তানকে দুধ পান করার ক্ষেত্রে দুই বছর পার হওয়ার পরও যদি কোন কারণে খাওয়াতে হয় সেক্ষেত্রে মা গোনাহগার হবে কি?
প্রশ্ন (২০/২২০) : জনৈক ব্যক্তি তার এক নিকটাত্মীয়কে আশি হাযার টাকা ঋণ দেয় এই শর্তে যে, সে বছরে ২০ বস্তা করে ধান দিবে। যার ন্যূনতম বাজার মূল্য ৭/৮ হাযার টাকা। এভাবে টাকা ধার দিয়ে লাভ নেয়া কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৬/৪০৬) : স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের কারণে তাকে এক সাথে তিন তালাক দেই। দফায় দফায় সালিশ হওয়ায় একপর্যায়ে ৩ মাসের মধ্যে আমি তাকে নতুন করে বিবাহ ও কাবিন করে ফিরিয়ে আনি। এমতাবস্থায় আমি ৩ বছর যাবৎ সংসার করে আসছি। কিন্তু মানুষের মুখে বিভিন্ন কথা শুনে আমি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগছি। এক্ষণে আমার সংসার জীবন শরী‘আত সম্মত হচ্ছে কি?
প্রশ্ন (৩২/২৭২) : হাদীছে আউয়াল ওয়াক্ত বলতে কি বুঝানো হয়েছে? আউয়াল ওয়াক্তে ছালাত আদায় করা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? - মুহাম্মাদ মুহসিন কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৫/৮৫) : প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরকে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ছেড়ে দিলে, হালাল পশু শিকার করে মৃত অবস্থায় আনলে খাওয়া যাবে এবং কুকুরকে বাড়িতে রাখলে এক ওহোদ পাহাড় পরিমাণ নেকী নষ্ট হয়ে যাবে। এসব কথা কি সত্য?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : আমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকুরীরত। আমি কয়েকবার স্ত্রীকে তিন তালাক দেই। ১ম বার তাকে হায়েয অবস্থায় একসাথে তিন তালাক দেই এবং পরে আবার তওবা করে সংসার করি। ২য় বার ১ তালাক দেই এবং সাথে সাথেই ক্ষমা চেয়ে সংসার করতে থাকি। ৩য় বার পুনরায় তালাক দিয়ে আবার ক্ষমা চাই। ৪র্থ বার প্রচন্ড রাগারাগি করে হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে ৩ তালাক দেই। এরপর থেকে আমরা আলাদা আছি। উল্লেখ্য, আমার রাগ খুবই বেশী, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আর আমাদের সন্তান আছে। স্ত্রী চাকুরী ছাড়তে রাযী না হওয়ায় আমি প্রায়ই ক্ষুব্ধ হই। এক্ষণে আমরা পুনরায় সংসার করতে চাই। আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৮/২২৮) : বাড়ীতে তারাবীহর ছালাত আদায় করলে ক্বিরাআত সরবে হবে না নীরবে?
প্রশ্ন (২৬/২২৬) : মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর তার মাথার নিকটে সূরা ফাতিহা বা সূরা বাক্বারার প্রথম ও শেষ আয়াত পাঠ করার ব্যাপারে শরী‘আতের কোন নির্দেশনা আছে কি? - -মাযহারুল ইসলাম, দিনাজপুর।
আরও
আরও
.