উত্তর : প্রত্যেক মুমিন নারীর জন্য অপরিহার্য হ’ল পিতা বা অভিভাবকের অনুমতিক্রমে বিবাহ করা (আবুদাঊদ হা/২০৮৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩১৩০-৩১)। তবে যেহেতু উক্ত বিবাহ কাযী অফিসের মাধ্যমে হয়েছে এবং পরিবার মেনে নিয়েছে সেহেতু এটি ‘শিবহে নিকাহ’ হিসাবে বৈধ হয়েছে (ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী ৭/৮; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/১০৩)। অতঃপর ২০১২ সালে প্রদত্ত একসাথে দুই তালাক এক তালাক হিসাবে গণ্য হবে। অতঃপর ২০২০ সালে প্রদত্ত তালাকটি ২য় তালাক হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষণে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে ইদ্দতের মধ্যে রাজ‘আত করতে পারবে। আর ইদ্দতের তিন মাস মেয়াদ অতিক্রম করলে নতুন বিবাহের মাধ্যমে সংসার করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, রাজ‘আত করলে বা ইদ্দতকাল শেষে বিবাহ করলে স্বামী আর মাত্র এক তালাকের অধিকারী থাকবে। অর্থাৎ এরপর কোন কারণে এক তালাক দিয়ে দিলে স্ত্রী তার জন্য স্থায়ীভাবে হারাম হয়ে যাবে। ফলে স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ হওয়া ও স্বেচ্ছায় তালাকপ্রাপ্তা হওয়ার পূর্বে তার সাথে আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ ২/৩৩৮, মাসআলা নং ৯৭৫; মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/৯৯-১০০)।
প্রশ্নকারী : কানীয ফাতেমা, ঢাকা।