উত্তর : উক্ত
অবস্থায় স্ত্রীকে বেশী বেশী উপদেশ দিতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা
নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে
সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি
যদি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তাহ’লে তা
সব সময় বাঁকাই থাকবে। অতএব নারীদের নছীহত করতে থাক’ (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত হা/৩২৩৮)।
তালাক থেকে সম্ভবপর দূরে থাকাই উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট ঘৃণিত হালাল হ’ল তালাক প্রদান করা’ (আবুদাউদ হা/২১৭১; মিশকাত হা/৩২৮০; যঈফুল জামে‘ হা/৪৪)। হাদীছটির সনদ মুরসাল হ’লেও মর্মগতভাবে সঠিক (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৩/৫৫)। এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর অস্থির সম্পর্ক সন্তানদের মানসে দারূণ প্রভাব ফেলে। তাই সন্তানদের দিকে তাকিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তবে দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহের ব্যাপারে নিয়মিত অবহেলা দেখা গেলে এবং উপদেশে কোন কাজ না হ’লে অবশেষে তালাক দেওয়া সিদ্ধ।