উত্তর: উক্ত মর্মে আয়েশা (রাঃ) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে একটি বর্ণনা পাওয়া যায় (মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৪৫৮৬; ফাৎহুল বারী ৫/৭৪)। তবে আয়েশা (রাঃ) নিজেই তঁার এই ভুলের জন্য ওযর পেশ করেছেন। যেমন তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমার বুকে ও কোলে মাথা রেখে মারা গেছেন। এ ব্যাপারে আমি কারু প্রতি যুলুম করিনি। তবে রাসূল (ছাঃ) যখন আমার কোলে মারা গেলেন, তখন আমি তার মাথা বালিশের উপর রেখে অন্য নারীদের সাথে মাতম শুরু করলাম এবং মুখমন্ডলে আঘাত করতে লাগলাম আমার বয়সের স্বল্পতার কারণে অজ্ঞতাবশত (আহমাদ হা/২৬৩৯১; ইরওয়া হা/২০২১-এর আলোচনা, সনদ হাসান)।
উল্লেখ্য যে, মাইয়েতের জন্য মাতম করা নিষেধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করা হয় ক্বিয়ামতের দিন সে মৃতকে এ মাতমের জন্য শাস্তি দেয়া হবে’ (বুখারী হা/১২৯১; মিশকাত হা/১৭৪০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার-পরিজনের কান্নাকাটির দরুন আযাব দেয়া হয় (বুখারী হা/১২৯০; মিশকাত হা/১৭৪২)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে (মৃতের শোকে) আপন মুখমন্ডলে আঘাত করে, জামার কলার ছিঁড়ে এবং জাহেলী যুগের ন্যায় আহাজারী করে’। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যে মাথার চুল ছিঁড়ে উচ্চস্বরে বিলাপ করে’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৭২৫)।
প্রশ্নকারী : মীযানুর রহমান, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।