উত্তর :
এরূপ এক প্রশ্নের উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন, إِعْمَلُوا فَكُلٌّ
مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ ‘তোমরা আমল করতে থাক। কেননা প্রত্যেকের জন্য ঐ
কাজ সহজ হয়, যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ; মিশকাত হা/৮৫)।
অনুরূপ আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, سَدِّدُوا وَقَارِبُوا ‘তোমরা
সৎকর্ম কর ও আল্লাহর নৈকট্য তালাশ কর’। কারণ জান্নাতী ব্যক্তি জান্নাতী
আমলের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে, ইতিপূর্বে সে যে আমলই করুক না কেন এবং
জাহান্নামী ব্যক্তি জাহান্নামী কাজের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে, ইতিপূর্বে সে
যে আমলই করুক না কেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের ব্যাপারে তোমাদের পালনকর্তা
ফায়ছালা শেষ করে ফেলেছেন। ‘তোমাদের একদল জান্নাতে যাবে ও একদল জাহান্নামে
যাবে’ (শূরা ৪২/৭; তিরমিযী হা/২১৪১, মিশকাত হা/৯৬)।
ভাগ্যে কি লিপিবদ্ধ আছে, মানুষ তা জানে না। অতএব মানুষকে একনিষ্ঠ চিত্তে সৎ আমল করে যেতে হবে। ইবনে ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) বলেন,كُلُّ شَيْئٍ بِقَدَرٍ حَتَّى الْعَجْزُ وَالْكَيْسُ ‘প্রত্যেক বস্ত্তই আল্লাহর নির্ধারণ অনুযায়ী রয়েছে। এমনকি বুদ্ধির স্বল্পতা ও তীক্ষ্ণতা পর্যন্ত’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৮০)। (বিস্তারিত দ্রঃ দরস : তাক্বদীরে বিশ্বাস, মাসিক আত-তাহরীক নভেম্বর ২০০৩)।