উত্তর : মুসলিম-অমুসলিম যেকোন মানুষের মৃত্যু বা বিপদে দুঃখিত হওয়া এবং সমাবেদনা জানানোই মানুষের স্বাভাবিক কর্তব্য। তবে মুসলিম হৌক বা অমুসলিম হৌক, ইসলাম বিদ্বেষী যে কারো মৃত্যুতে বা তাদের কোন বিপদে আনন্দিত হওয়া যাবে (আহযাব ৩৩/৯; বুখারী হা/১৩০১; মুসলিম হা/৯৪৯)। যেমন চরম ইসলাম বিদ্বেষী ইহূদী নেতা কা‘ব বিন আশরাফ নিহত হ’লে আল্লাহর রাসূল আনন্দ প্রকাশ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন (ফাৎহুল বারী ৭/৩৪০)। পাপিষ্ঠ ইবনু আবীদাউদ বিপদগ্রস্ত হ’লে ইমাম আহমাদকে আনন্দ প্রকাশ করার কথা বলা হলে তিনি বলেন, এতে কে না আনন্দ প্রকাশ করবে? (খাল্লাল, আস-সুন্নাহ ৫/১২১)। ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, রাফেযী নেতা বদবখত হাসান বিন ছাফী বিন বাযদান তুর্কী মারা গেলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আলেমগণ আনন্দ প্রকাশ করেন এবং আল্লাহর প্রশংসা করেন (আল-বিদায়াহ ১২/৩৩৮)। তবে মৃতব্যক্তিকে গালমন্দ করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মৃতদের গালি দিবে না। কেননা তারা তাদের পূর্বে পেশকৃত অর্জনের প্রতি ধাবিত হয়েছে’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৬৬৪ ‘জানাযা’ অধ্যায়)। বর্তমান যুগে স্রেফ রাজনৈতিক ও দলীয় বিদ্বেষ বশতঃ কোন ব্যক্তির বিপদে বা মৃত্যুতে যেভাবে উল্লাস করা হয় ও মিষ্টি খাওয়া হয়, তা চরম ধৃষ্টতা ও শিষ্টাচার বিরোধী। এ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।