উত্তর : যিনি রাসূল (ছাঃ)-কে দেখেছেন, তাঁর প্রতি ঈমান এনেছেন এবং ঈমানের হালতে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনিই ছাহাবী। সে অনুযায়ী ওয়াহশী বিন হারব হাবাশী একজন ছাহাবী ছিলেন (আল-ইছাবাহ ৬/৪৭০)। তিনি মুত্বঈম বা তু‘মা বিন ‘আদীর ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার শর্তে ওহোদের যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর চাচা হামযা বিন আব্দুল মুত্ত্বালিবকে হত্যা করেন। পরে মক্কা বিজয়ের দিন ইসলাম গ্রহণ করেন। আবূবকর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে তিনি ভন্ডনবী মুসায়লামা কাযযাবকে হত্যা করেন। তিনি বলেন, মক্কায় ইসলাম প্রসার লাভ করলে আমি তায়েফ চলে গেলাম। কিছু দিনের মধ্যে তায়েফবাসীরা রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে দূত প্রেরণের ব্যবস্থা করলে আমাকে বলা হ’ল যে, তিনি দূতদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন না। তাই আমি তাদের সাথে রওয়ানা হ’লাম এবং রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট হাযির হ’লাম। তিনি আমাকে দেখে বললেন, তুমি কি ওয়াহ্শী? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তুমিই কি হামযাকে হত্যা করেছিলে? আমি বললাম, আপনার কাছে যে সংবাদ পৌঁছেছে ব্যাপারটি তাই। তিনি বললেন, আমার সামনে থেকে তোমার চেহারা কি সরিয়ে রাখতে পার? ওয়াহ্শী বলেন, আমি তখন চলে আসলাম’। রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর ভন্ডনবী মুসায়লামা কায্যাব আবির্ভূত হ’লে আমি বললাম, আমি অবশ্যই মুসায়লামার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হব এবং তাকে হত্যা করে হামযা (রাঃ)-কে হত্যার পায়শ্চিত্ত করব। তাই আমি লোকদের সাথে রওয়ানা হ’লাম। যুদ্ধের এক পর্যায়ে আমি দেখলাম যে, হালকা কালো রঙের উটের ন্যায় উষ্কখুষ্ক চুলবিশিষ্ট এক ব্যক্তি একটি ভাঙ্গা প্রাচীরের আড়ালে দাঁড়িয়ে আছে। তখন সাথে সাথে আমি আমার বর্শা দিয়ে তার উপর আঘাত করলাম এবং তার বক্ষের উপর এমনভাবে বসিয়ে দিলাম যে, তা দু’কাঁধের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে গেল। এরপর একজন আনছার ছাহাবী এসে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন এবং তরবারী দিয়ে তার মাথার খুলিতে প্রচন্ড আঘাত করলেন। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) বলেন, (মুসায়লামা নিহত হ’লে) ঘরের ছাদে উঠে একটি বালিকা বলছিল, হায়, হায়! আমীরুল মুমিনীন (মূসায়লামা)-কে একজন কালো ক্রীতদাস হত্যা করল (বুখারী হা/৪০৭২; আহমাদ হা/১৬১২১)। পরে ওয়াহশী খালিদ বিন ওয়ালিদের সাথে ইয়ারমূকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং হিমছে বসবাস করেন’ (আল-ইছাবাহ ৬/৪৭০; উসদুল গাবাহ ৫/৪০৯)।  তিনি  হিমছেই  মৃত্যুবরণ  করেন।  তাঁকে  রাসূল (ছাঃ)-এর গোলাম ছাওবানের পাশে দাফন করা হয় (আল-বিদায়াহ ৪/২০)






প্রশ্ন (২৯/১৪৯) : আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও উলুল আমরের আনুগত্য কর। উলুল আমর বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে? তারা কি একাধিক হবেন?
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : জনৈক ব্যক্তি মানত করেন যে, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন তার এলাকার সব নতুন মসজিদের বৈদ্যুতিক তারের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি কয়েক বছর উক্ত ব্যবস্থা করলেও বর্তমানে করতে চাচ্ছেন না। এজন্য কি তাকে কাফফারা দিতে হবে?
প্রশ্ন (২৪/৪৬৪) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, মানুষকে প্রতিদিন নছীহত করা বা মসজিদে প্রতিদিন হাদীছ পাঠ করা শরী‘আতসম্মত নয়। এর স্বপক্ষে তিনি বুখারীর একটি হাদীছ পেশ করেন। একথার সত্যতা জানতে চাই। - -আব্দুল্লাহ, ঢাকা।
প্রশ্ন (৫/২০৫) : খেলাফতের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় আবুবকর (রাঃ) কর্তৃক জনৈকা বৃদ্ধার পরিচর্যার ঘটনাটি কি সত্য? - -ওছমান প্রামাণিক, বগুড়া।
ওমর (রাঃ)-এর একটি ভাষণ - মুসাম্মাৎ শারমিন আখতার
প্রশ্ন (৩৭/৭৭) : কেউ যদি অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার কারণে আড়াই চাঁদের ছিয়াম তথা ঈদের দিন ব্যতীত রামাযান ও আরো দেড় মাস মানতের ছিয়াম পালন করে, তাহ’লে উক্ত ছিয়াম পালন করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্নঃ (১০/৫০) : জনৈক আলেম বলেন, মুতার যুদ্ধে আবূবকর (রাঃ) তাঁর সমস্ত সম্পদ দান করার কারণে তার স্ত্রী খেজুর পাতার পোষাক পরেছিলেন। তার সম্মানে আসমান যমীনের সমস্ত ফেরেশতা খেজুর পাতার পোষাক পরেছিলেন। উক্ত ঘটনা কি সত্য?
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : একজন আলিম গায়রে মাহরাম মহিলাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন। এটা কি কাবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত নয়? এমন লোকের পিছনে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/৪৬৭) : জনৈক আলেম বলেন, আয়েশা (রাঃ)-এর অনুমতিক্রমে আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-কে রাসূলের পাশে কবর দেওয়া হয়েছিল। এর সত্যতা জানতে চাই। - -আব্দুল্লাহ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২২/৬২) : আমি শিশু অবস্থায় একটি অসহায় ছেলেকে দত্তক হিসাবে গ্রহণ করি। তার পিতা জন্মের আগেই মাকে ছেড়ে যায়। বর্তমানে নথিপত্রে শিশুটির পিতা-মাতার নাম লেখার প্রয়োজন পড়ছে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও তার পিতার কোন খোঁজ না পাওয়ায় পালক পিতা বা অভিভাবক হিসাবে আমার এবং আমার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করতে পারব কি? উল্লেখ্য যে, আমার নিজের কোন সন্তান না থাকায় এবং আমার স্ত্রী মানসিক রোগগ্রস্ত হওয়ায় উক্ত ছেলের মায়ের স্থলে তার নাম না লিখলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১১/১৭১) : ইমামের সাথে ছালাতরত অবস্থায় ঘুমের কারণে আমার একটি সিজদা ছুটে যায়। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -মুহিউদ্দীন আহমাদশ্যামলী, ঢাকা।
প্রশ্ন (২১/১৪১) : মহিলাদের ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে পায়ের পাতা ঢেকে দাঁড়াতে হবে কি? রুকূ ও সিজদার সময় পা বের হয়ে গেলে ছালাত নষ্ট হয়ে যাবে কি? - -শাহনায বেগম, মোল্লাহাট, বাগেরহাট।
আরও
আরও
.