উত্তর : ইবাদত করার মধ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য উদ্দেশ্য থাকে। অন্যদিকে বরকত অর্থ অতিরিক্ত, প্রাচুর্য, অন্তরে প্রশান্তি লাভ ইত্যাদি। বস্ত্তত হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা ইবাদত। এর দ্বারা বরকত লাভ উদ্দেশ্য নয়। ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি হাজারে আসওয়াদের কাছে এসে তা চুম্বন করে বললেন, ‘আমি অবশ্যই জানি যে, তুমি একটা পাথর মাত্র। তুমি কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ করতে পার না। তবে আমি রাসূল (ছাঃ)-কে তোমার চুম্বন করতে না দেখলে কখনো তোমাকে চুম্বন করতাম না’ (বুখারী হা/১৬১০)। ইবনু আববাস (রাঃ) একদিন মু‘আবিয়া (রাঃ)-এর সাথে বায়তুল্লাহ তওয়াফ করছিলেন। তিনি মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে পুরো বায়তুল্লাহ স্পর্শ করতে দেখে বললেন, রাসূল (ছাঃ) কেবল রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদ স্পর্শ করেছেন। তখন মু‘আবিয়া (রাঃ) বললেন, বায়তুল্লাহর কোন কিছুই পরিত্যক্ত নয়। জওয়াবে ইবনু আববাস (রাঃ) বললেন, আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে’ (আহযাব ৩৩/২১)। এ সময় মু‘আবিয়া (রাঃ) বললেন, আপনি সত্য বলেছেন (আহমাদ হা/১৮৭৭, সনদ হাসান)। অতএব বরকত লাভের আশায় হাজারে আসওয়াদ বা কা‘বার অন্য কোন অংশ স্পর্শ করা যাবে না। বরং এটি ইবাদত। যা শরী‘আত মোতাবেক করতে হবে।
প্রশ্নকারী : শেরশাহ, শিরোইল, রাজশাহী।